পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ২১টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ নবরূপায়ণসহ ১০ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৯৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
বৈঠকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপবন এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সব রেলসেতু সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্ষার আগেই সেতুগুলো দ্রুত সংস্কার করতে হবে। এছাড়া সারা দেশে সমন্বিতভাবে সরকারি অফিস স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বড়, ছোট ও মাঝারি এই তিনভাগে ভাগ করে জেলা সদরের সরকারি অফিসগুলো যেনো একই ডিজাইনের হয় সেজন্যও নির্দেশনা দেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন ও নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রেলের ২১ ইঞ্চিন আধুনিকরণ প্রকল্পের আওতায় রেলের ২১টি এমজি লোকোমোটিভ পুনর্বাসনের মাধ্যমে নবরূপায়ণ করা হবে। এতে লোকোমোটিভগুলোর কর্মক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি চলাচলে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে যাত্রী সেবা নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ২১টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ নবরূপায়ণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। জানুয়ারি ২০১৯ হতে জুন ২০২২ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, গত রোববার দিবাগত রাতে রেলের বগি পড়ে হতাহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দেশের সবগুলো রেলসেতু জরিপ করার দায়িত্ব দিয়েছেন রেলপথ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরকে। জরিপের মাধ্যমে যেসব সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উঠে আসবে, সেগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া দেশের কোন কোন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর দেখাশোনা করবে, আর কোন কোন সড়ক এলজিইডি দেখাশোনা করবে তা জরিপের পর ভাগ করে নিতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে সমন্বিতভাবে সরকারি অফিস স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ছোট, মাঝারি ও বড় এই তিনভাবে ভাগ করে জেলা সদরের সরকারি অফিসগুলো যেন একই ডিজাইনের হয় সেই নির্দেশনাও প্রদান করেছেন তিনি।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- বামনডাংগা (গাইবান্ধা)-শঠিবাড়ী-আফতাবগঞ্জ জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন জোনের প্রধান সংযোগ রাস্তাগুলো প্রশস্তকরণসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা এর ক্যাম্পাসে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় হবে ২২৮ কোটি টাকা। মানিকগঞ্জ বহুতল বিশিষ্ট সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা।
ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি টাকা। দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনঃনির্মাণ, কোনাবাড়ি, গাজীপুর প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ কোটি টাকা। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি টাকা। বৃহত্তর ফরিদপুর সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হবে ২০০ কোটি টাকা। ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা।
একনেকে অনুমোদিত ১০ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ছয় হাজার ৯৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে ছয় হাজার ৬৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২৪১ কোটি ৫২ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশ নেন। আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।