পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গতকাল সোমবার টিআইএন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। সাধারণ মানুষকে করের আওতায় আনতে এবার বাজেটে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য টিআইএন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী মন্ত্রণালয়। তার এই প্রস্তাবে দেশের বড় একটি অংশ এ কারণে বিপদে পড়বে বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এজন্য প্রস্তাবটি প্রত্যাহারে চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ইতোমধ্যে ৯৩ ভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা সারাদেশে তিন কোটি ৩৪ লাখ। এরমধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-এর গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটি ৬৪ লাখ। আরইবির এই গ্রাহকের মধ্যে এক কোটি ২০ লাখ প্রান্তিক গ্রাহক (যারা মাসে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন।) চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থবিলে প্রস্তাব করা হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেই কর শনাক্ত নম্বর (টিআইএন) নিতে হবে। এই প্রান্তিক গ্রাহকেরা খুব দরিদ্র। অনেকেই দিনমজুর। তাদের পক্ষে টিআইএন করা কষ্টদায়ক ও অমানবিক। এছাড়া টিআইএন থাকলে প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। যা ওই দরিদ্র শ্রেণির লোকদের জন্য হয়রানিমূলক, কর্মকালের অপচয় ও সেই সঙ্গে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ মনে করে এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগের টিআইএন থাকার প্রস্তাব প্রত্যাহার করার জন্য চিঠিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
জানা গেছে, আবাসিকে বিদ্যুতের সংযোগের জন্য আবেদন পত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর দুই কপি সত্যায়িত রঙিন ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি, জমির দলিল বা লিজের সত্যায়িত ফটোকপি, ১০ তলার বেশি হলে অগ্নিনির্বাপণ সনদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মধ্যে হলে ভবন নির্মাণের বৈধ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ফটোকপি ও দুই কিলোওয়াটের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ লোড হলে সৌর প্যানেল স্থাপনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কারও ভবন নির্মাণের বৈধ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকলে অনাপত্তিপত্র দিয়েও বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া যায়। এছাড়া, বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ছাড়পত্রের কপিও জমা দিতে হয়। এর সঙ্গে এবার টিআইএন জমা দেওয়াটা গ্রাহকদের জন্য আরও বিপদের কারণে হবে বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন সাংবাদিকদের বলেন, বাজেট নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। তাই আমরা এখনই অনুরোধ জানিয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি বলেন, বড় গ্রাহকদের জন্য এটি সমস্যা হয়তো হবে না। কারণ তাদের বেশিরভাগ আয়কর দেন। কিন্তু আমাদের প্রান্তিক গ্রাহকের সংখ্যা সে তুলনায় অনেক বেশি। তাদের কথা বিবেচনা করেই এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।