Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সার্কুলারে স্থিতাদেশের মেয়াদ বাড়ল হাইকোর্টে

ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের অংক ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। মোট ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৮০ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে মামলা রয়েছে। আদালতের স্থগিতাদেশের দোহাই দিয়ে ঋণ গ্রহিতারা এ অর্থ পরিশোধ করছেন না। খেলাপি ঋণ সম্পর্কে গতকাল সোমবার হাইকোর্টে এ তথ্য উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। হলফনামার মাধ্যমে দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া খেলাপি ঋণের ১০ হাজার ৪৭৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চে এ তথ্য উপস্থাপন করেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও তালিকাসংক্রান্ত তথ্য দুইটি ভলিউমে সিলগালা করা তালিকা আদালতে উপস্থাপন করেন। কিন্তু কোন্ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কত টাকা ঋণখেলাপি বা অর্থের পরিমাণ কত তা আদালতে প্রকাশ্যে উল্লেখ করা হয়নি। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধ সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালার ওপর দেয়া স্থিতাদেশের মেয়াদ আরো ২ মাস বৃদ্ধি করেন হাইকোর্ট। আদালত থেকে বেরিয়ে রিটকারীর কৌঁসুলি মনজিল মোরসেদ বলেন, ঋণখেলাপিদের পুনরায় ২ শতাংশ (ডাউন-পেমেন্ট) সুদ জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলকরণের সুবিধা দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি চ্যালেঞ্জ করে গত ১৬ মে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই। আদালত রুলনিশি জারি করলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয়, এ ধরনের কোনো সার্কুলার তারা জারি করেনি। আদালত তখন ঋণ খেলাপিদের তালিকা দাখিল করতে বলেন।

এ আদেশের পরপর ওইদিন বিকেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ সুবিধা সম্বলিত সার্কুলার জারি করে। এতে উল্লেখ করা হয়, ২ শতাংশ ডাউন-পেমেন্ট দিয়ে ঋণখেলাপিরা খেলাপির তালিকা থেকে মুক্তি পাবেন। খেলাপি হিসেবে সিআইবিতে তাদের নাম থাকবে না। তখন নতুন করে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে যাবে। এতে ব্যাংকের মেরুদন্ড ভেঙে যাবে। আদালত আমাদের বক্তব্য গ্রহণ করে ওই আদেশের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে কমিশন গঠন করে কমিশনের সুপারিশের আলোকে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- মর্মে রুল জারি করা হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রিটের পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয় ২৪ জুন। সে অনুযায়ী গতকাল আদালত বসলে স্থিতি আদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানান মনজিল মোরসেদ। আদালত সেটি মঞ্জুর করেন এবং দুই সপ্তাহ পর রুলের চূড়ান্ত শুনানির তারিখ ধার্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ