পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিজ্ঞা বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে দেয়, মানুষকে দেয়। মানুষকে আমরা সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছি। জাতির পিতা যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশের স্বপ্নের স্বপ্ন দেখতেন, সেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের প্রতিজ্ঞা। মুজিব আদর্শের প্রতিটি কর্মীর এটাই প্রতিজ্ঞা। গতকাল রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দেশে দারিদ্র্যের হার আমেরিকার চেয়েও কমিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমেরিকায় দারিদ্র্যের হার বোধহয় সতেরো কি আঠারো শতাংশ। যে করেই হোক তার (আমেরিকা) থেকে এক পারসেন্ট (শতাংশ) কমালেও আমাকে কমাতে হবে। দারিদ্র্যের হার আজকে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাঙালি জাতি সমগ্র বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। যে মর্যাদা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাঙালি জাতি হারিয়েছিল। তিনি বলেন, বাংলার হারানো স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই এই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বাংলার জনগণ কিছু না কিছু পেয়েছে।
বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী দেশের সব থেকে প্রাচীন এবং বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, চার জাতীয় নেতা এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী দলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এ ছাড়া গতকাল বিসিএস প্রশাসনের ১১০, ১১১ এবং ১১২তম ব্যাচের আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পাঁচ মাসের সফল কোর্স সম্পন্ন করা বিসিএস প্রশাসনের ১২০ জন নবীন কর্মকর্তার হাতে তিনি সনদ তুলে দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু চাকরির জন্য চাকরি নয়, দেশ এবং দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করতে হবে বিসিএস প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা যাতে থেমে না যায় সেদিকে নজর দিয়ে দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে নতুন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। আর সেই উন্নয়ন হবে দেশের পুরো মানুষের। প্রতিটি মানুষের জন্য। তাই শুধু চাকরির জন্য চাকরি নয়, দেশের মানুষকে ভালোবেসে, দেশের মানুষের সেবা করতে হবে।
ধান কাটায় ক্ষেতমজুর সঙ্কট নিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, একবার ফুলপ্যান্ট পরলে আর লুঙ্গি পরা যাবে না বা গামছা পরে মাঠে যাওয়া যাবে না এই চিন্তাটা যেন মাথায় না আসে। মানুষকে বলতে হবে, বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে সব কাজ করতে হবে। চোখে অপারেশন না হলে নিজেই ধান কাটতে যেতেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে সব কাজ করতে হবে। আমি তো বলেছিলাম দরকার হলে আমি নিজে ধান কাটতে যাবো। আমার চোখে অপারেশন না হলে আমি ঠিকই চলে যেতাম। আমি দেখিয়ে দিতাম আমার কাছে সব কাজ সমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মক্ষেত্রে সব থেকে বড় কথা আত্মবিশ্বাস। কোনো একটা কাজ করতে গেলে কিভাবে করব, কিভাবে হবে, কিভাবে টাকা আসবে, কোত্থেকে টাকা আসবে, এত দুশ্চিন্তা না করে মনে রাখতে হবে এ কাজটা করতে হবে। কিভাবে করতে হবে সেটা নিজেই খুঁজে বের করতে হবে। নিজের ভেতর ইনোভেটিভ চিন্তা থাকতে হবে। দ্বিধাদ্ব›েদ্ব ভুগলে চলবে না। মনে করতে হবে অবশ্যই পারব। আমি এটুকুই অনুরোধ করব, যেখানে যাবেন শুধু চাকরির জন্য চাকরি নয়। জনসেবা করা, দেশ সেবা করা, দেশকে ভালোবাসা, দেশের মানুষকে ভালোবাসা এই কথাগুলো মনে রাখতে হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, খেয়াল রাখতে হবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক যেন আমাদের সমাজকে ধ্বংস করতে না পারে। প্রতিটি অর্থ জনগণের এটা মাথায় রাখতে হবে। আমরা বেতন-ভাতা যা পাচ্ছি সেটা এদেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অর্থ, এটা মাথায় রাখতে হবে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের উন্নতি করা, এটাই আমাদের কর্তব্য।
নবীন কর্মকর্তাদের সঠিক ইতিহাস জানার বিষয়েও গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিহাস জানতে হবে। আমাদের দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরের পরে আমাদের কয়েকটা প্রজন্ম বাংলাদেশের বিজয়ের ইতিহাস, সংগ্রামের ইতিহাস জানতে পারেনি। ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল, এটা একটা জাতির জন্য সবচেয়ে সর্বনাশের ব্যাপার। কারণ, আমরা যদি বিজয়ের ইতিহাস জানতে না পারি। পরাজিতদের পদলেহন করতে থাকি আমরা তাহলে উঠে দাঁড়াব কিভাবে?
২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থেকেছে দেশ এগিয়েছে। বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে যে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, সেই স্বাধীনতার সূর্য আওয়ামী লীগের হাতেই উদিত হয়েছিল। তিনি বলেন, পাকিস্তান এক অদ্ভুত রাষ্ট্র। সে সময় তাদের সঙ্গে আমাদের জুড়ে দেয়া হলো। তাদের সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতি থেকে শুরু করে কোনো কিছুরই মিল ছিল না। আজ আমরা তাদের থেকে অনেক এগিয়ে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই স্বাধীনতা এসেছিল। তিনি দেশকে স্বাধীন করেছেন বলেই বাঙালিরা আজ সর্বক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। তিনি আরো বলেন, এক সময় ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। নীতির বিরোধিতা করা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে আমাদের সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও তখন বিরোধী দল বিএনপি বিরোধিতা করেছিল। এখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম আশিকুর রহমান, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর কাজী রওশন আক্তার প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে আওয়ামী লীগ। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে অপর একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ এবং অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এবং পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট মিসবাহউদ্দিন সিরাজ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মোল্লা আবু কাউছার, ওমর ফারুক চৌধুরী, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহমুদা বেগম কৃক, নাজমা আক্তার, অপু উকিল। পাশাপাশি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উন্মুক্ত করা হলে যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগ, সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম পাঠান মিলন, রেদওয়াদ খান বোরহান, মহিলা লীগের শিক্ষা সম্পাদক ড. সেলিনা আক্তার প্রমুখ।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আলাদাভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা। পদবঞ্চিতদের দাবি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিত নেতারা থাকায় আলাদা কর্মসূচি পালন করেন তারা। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্বা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ র্যালী ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্বা সংসদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শরীফ উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ৭৫ এর প্রতিরোধ যোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীর প্রতীক, যুদ্ধাহত কমান্ডের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি মাহমুদ পারভেজ জুয়েল, ঢাকা-১৫ আসন মিরপুরের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ রতন তেজগাঁওয়ের কমান্ডার আবুল বাশার, ঢাকা মহানগরের ফরিদ ও কাফরুলের সেক্রেটারি এ বি সিদ্দিক মোল্লা, আমরা মুক্তিযোদ্বার সন্তানের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রেসিডিয়াম মেম্বার হাজী এমদাদ প্রমুখ।
এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুণ সরকার রানা, জোট নেত্রী নাট্য অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, চিত্রনায়িকা শাহনুর, গায়ক এস ডি রুবেল, নাট্যশিল্পী মাজনুন মিজান, কবি রবীন্দ্র গোপ, চিত্রনায়ক শাকিল খানসহ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ।
এ দিকে রাজধানীর প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক নিজ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগের সভাপতি আহসান উল্লাহ মনি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাউল করীম চৌধুরী বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আকবরের নেতৃত্বে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আলোচনা সভার আয়োজন করে ডেমরা থানা ৬৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে ৯১ আওয়ামী লীগের পুরাতন কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগ। এতে নেতৃত্ব দেন ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু। এ ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ৩৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ৩৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ র্যালিতে অংশ নেন।
এ দিকে ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল ৪টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভায় দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর এ আলোচনা সভা সফল করতে দল ও দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।