পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে এই দেশে এসেছিলেন এবং তাদের পক্ষে কাজ করেছিলেন বলে প্রমাণাদি থাকার দাবি তুলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান শেখ ফজলুল করিম সেলিম। একই বক্তব্যে তিনি তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা বর্তমানে সরকারের অন্যতম মিত্র দল ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কর্মকান্ড নিয়েও মন্তব্য করেন। ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করতো বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ সেলিম বলেন, জিয়াউর রহমান কে ছিলেন, আমার কাছে প্রমাণ আছে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা আসলাম বেগ তাকে চিঠি লেখে। সেই চিঠি আমার কাছে আছে। যে লোক দেশের জন্য যুদ্ধ করে তার কাছে পাক সেনা চিঠি লিখে বলেছে ‘তুমি ভালো কাজ করছ। তোমার জন্য পরবর্তী উপহার অপেক্ষা করছে। তুমি তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হইও না।
তিনি বলেন, জিয়া ছিল পাকিস্তানি এজেন্ট। জিয়ার পরিবার পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে বসবাস করত। পিতামাতার মৃত্য্যুর পর পকিস্তানেই তাদের কবর দেয়া হয়। এখানে কোনদিন তারা আসেনি। গণঅভ্যুত্থানের সময় বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে আইএস-এর কর্মকর্তা হিসেবে তাকে ঢাকায় পোস্টিং দেয়া হয়। আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া একই তো। শেখ সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার বিচারে শিমলা চুক্তি হয়। সেই শিমলা চুক্তিতে ১৯৩ জন পাক সেনা কর্মকর্তার বিচার হওয়ার কথা ছিল, যেটি পাকিস্তানের করার কথা ছিল। অথচ ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধী জানযুয়া মারা গেলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শোক বার্তা পাঠান। কী মহব্বত! এমনকি তিনি যখন পাকিস্তান সফরে যান তার কবর পর্যন্ত জিয়ারত করেন। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে ক্ষতি করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।
শেখ সেলিম প্রশ্ন রেখে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতাকামী মানুষ কি মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে পারে? স্বাধীনতাবিরোধীরা কোথাও রাজনীতি করতে পারে? তারা পালিয়ে বেড়ায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমাদের দেশে তারা রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, অনেকে বাংলাদেশের জাতির পিতা সাজতে চায়। এরা কোথায় ছিল? ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন সেখানেই বাংলাদেশ নামটা দেন।
রাশেদ খান মেননকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করত। তবে মতিয়া গ্রুপ বিরোধিতা করত না। আর এনএসএফ প্রথমে বিরোধিতা করলেও পরে আর করেনি। পরবর্তীতে মেনন-মতিয়া গ্রুপ এদের সবাইকে মিলেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। সেই পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন। জনগণের সামনে ওয়াদা করে তারা বঙ্গবন্ধু উপাধি দিল, কত বড় নির্লজ্জ, পরে তারা বঙ্গবন্ধু বলে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।