Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট বঙ্গবন্ধুর বিরোধী মেনন

প্রমাণাদি থাকার দাবি নিয়ে সংসদে শেখ সেলিম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে এই দেশে এসেছিলেন এবং তাদের পক্ষে কাজ করেছিলেন বলে প্রমাণাদি থাকার দাবি তুলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান শেখ ফজলুল করিম সেলিম। একই বক্তব্যে তিনি তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা বর্তমানে সরকারের অন্যতম মিত্র দল ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কর্মকান্ড নিয়েও মন্তব্য করেন। ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করতো বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ সেলিম বলেন, জিয়াউর রহমান কে ছিলেন, আমার কাছে প্রমাণ আছে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা আসলাম বেগ তাকে চিঠি লেখে। সেই চিঠি আমার কাছে আছে। যে লোক দেশের জন্য যুদ্ধ করে তার কাছে পাক সেনা চিঠি লিখে বলেছে ‘তুমি ভালো কাজ করছ। তোমার জন্য পরবর্তী উপহার অপেক্ষা করছে। তুমি তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হইও না।

তিনি বলেন, জিয়া ছিল পাকিস্তানি এজেন্ট। জিয়ার পরিবার পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে বসবাস করত। পিতামাতার মৃত্য্যুর পর পকিস্তানেই তাদের কবর দেয়া হয়। এখানে কোনদিন তারা আসেনি। গণঅভ্যুত্থানের সময় বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে আইএস-এর কর্মকর্তা হিসেবে তাকে ঢাকায় পোস্টিং দেয়া হয়। আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া একই তো। শেখ সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার বিচারে শিমলা চুক্তি হয়। সেই শিমলা চুক্তিতে ১৯৩ জন পাক সেনা কর্মকর্তার বিচার হওয়ার কথা ছিল, যেটি পাকিস্তানের করার কথা ছিল। অথচ ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধী জানযুয়া মারা গেলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শোক বার্তা পাঠান। কী মহব্বত! এমনকি তিনি যখন পাকিস্তান সফরে যান তার কবর পর্যন্ত জিয়ারত করেন। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে ক্ষতি করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।

শেখ সেলিম প্রশ্ন রেখে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতাকামী মানুষ কি মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে পারে? স্বাধীনতাবিরোধীরা কোথাও রাজনীতি করতে পারে? তারা পালিয়ে বেড়ায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমাদের দেশে তারা রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, অনেকে বাংলাদেশের জাতির পিতা সাজতে চায়। এরা কোথায় ছিল? ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন সেখানেই বাংলাদেশ নামটা দেন।

রাশেদ খান মেননকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করত। তবে মতিয়া গ্রুপ বিরোধিতা করত না। আর এনএসএফ প্রথমে বিরোধিতা করলেও পরে আর করেনি। পরবর্তীতে মেনন-মতিয়া গ্রুপ এদের সবাইকে মিলেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। সেই পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন। জনগণের সামনে ওয়াদা করে তারা বঙ্গবন্ধু উপাধি দিল, কত বড় নির্লজ্জ, পরে তারা বঙ্গবন্ধু বলে না।



 

Show all comments
  • Md Yousuf Bd ২৪ জুন, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
    মিঃ সেলিম তুমি কি ছিলে জান? ঘোড়ার ডিম।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammed Washim ২৪ জুন, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 0
    যারা জীবনেও,,সুযোগ থাকা স্বত্বেও অস্ত্র হাতে নেয়নি,,তাদের মুখেই শুনতে হচ্ছে,,,মুক্কিযোদ্ধার ইতিহাস।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Idris Alam ২৪ জুন, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 0
    যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পিঠের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজবে বলে তাকে মন্ত্রী বানালেন যে ইনু বঙ্গবন্ধু কে হত্যার পরিবেশ সৃষ্টি করে কর্নেল তাহের কে সন্গে নিয়ে ইনু কে মন্ত্রী বানালেন তাহের কে বীর বানালেন শুধু মাত্র জিয়াউর রহমানকে ছোট করতে এরপরও যদি মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা করেন ঐ মুক্তিযোদ্ধার কোন মূল্য নেই। জিয়াউর রহমানকে তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যন্ত কিছু বলে নাই বরং স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার কারণে ওনাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতা ঘোষনা পাঠ করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন তার প্রমাণ এদেশের মানুষের কথা বাদ দিলাম বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ইন্দিরা গান্ধীর বই থেকে জেনে নিবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Zakaria A Hakim ২৪ জুন, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
    নিজেদের কোলের মধ্যে থাকলে পক্ষের,আর একটু ফসকে গেলেই রাজাকারের দোসর।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Siyam ২৪ জুন, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
    সেলিম সাহেব ক্ষমতা বলে অনেক কিছুই বলা যায় আর ইতিহাস আপনাদের কে ক্ষমা করবে না
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammed N Huda ২৪ জুন, ২০১৯, ৪:০২ এএম says : 0
    Mr. Salim, no matter how hard you try to portray Zia, it's not going to work. It's a lie and pathological lie. It is Zia who declared the independence by taking part in our liberation war. I heard those powerful appeal along with my other soldier buddies while we were in Teliapara tea garden right after after our revolt. Accept the fact that our great leader Zia was the pioneer for modern Bangladesh in so many ways from politics to economical uplift. You guys are very very ungrateful. Fortunately, people like you are very few in numbers. Most of the Bangladeshis will remember their great leader with respect, love and dignity except for few who are extremely jealous of Zia's popularity even he is dead for last 38 years. Shame on you! liar. An old freedom fighter, Long live the memory of Zia long live Bangladesh.
    Total Reply(0) Reply
  • Miah Muhammad Adel ২৪ জুন, ২০১৯, ৭:২৮ এএম says : 0
    আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে অনেক চিন্তা-ভাবনার এটাই উপলব্ধি হয় যে আজ বাংলাদেশ সরকার ভারতের সংগে যে দহররম-মহররম সম্পর্ক স্থাপন করেছে সেই সম্পর্ক যদি আদি থেকেই কাজ করতো, তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস অন্য রকম হতো। বিগত দুই বীরপুরুষই স্বাধীনচেতা ছিলেন যা তাঁদের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী। গলাবাজী করে অনেক কিছুই বলা যায় যার মধ্যে সারবত্তার হদিস পাওয়া মুশকিল।
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ২৪ জুন, ২০১৯, ১০:০১ এএম says : 0
    Dekhen menon,zia o poribarer biruddhe mittha kutsha rotona kore abar montritto paia nijer akher gujate paren kina? jottoshob mitthabadi kuomota lovi vote chor apnara....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ