পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়র, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যেই দুর্নীতি করবে, যেই আইন অমান্য করবে, তার শাস্তি হবে, অপরাধ অনুযায়ী বিচার হবে। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জননিরাপত্তা বিভাগের ছয়টি দফতর ও সংস্থার বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন
তিনি আরো বলেন, আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ আসছে আমরা চিন্তা করছি, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত চিন্তা করছে, পরিকল্পনা করছে। কী ধরনের দুর্নীতি সারাবিশ্বে হয়, সেগুলোর বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমরা সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সারাবিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ রক্ষা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছি। আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি, যাতে যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সক্ষমতা দেখাচ্ছে। অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তারা সব ধরনের খবরকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে। শ্রীলঙ্কায় একটা ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য আমরা একটা সমন্বয় ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, সবাই সজাগ ছিলাম বলে ঘটনা ঘটেনি। আমরা টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করবো। ২০২১ সালে শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করবো। আমাদের নির্বাচনে যে টার্গেটগুলো ছিল, তা বাস্তবায়নে কাজ করবো। আমাদের সফলতার হার ৯৭ শতাংশের ওপরে। কাজেই শতভাগ তেমন কিছু নয়।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা এবং দুর্নীতি বড় চ্যালেঞ্জ। নিরাপত্তা একটা ব্যাপক কাজ। সব ধরনের নিরাপত্তার জন্য আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কাজ করছে। আমরা বহু চ্যালেঞ্জ ইতোমধ্যে মোকাবিলা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা নিরাপত্তা বিভাগকে তাদের সক্ষমতা, দক্ষতা এবং তাদের যা যা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী তার ব্যবস্থা করেছেন বলেই আমরা যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারছি। আমরা মনে করি, ভবিষ্যতে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার, এনটিএমসি, অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সবাই তাদের কাজ সঠিকভাবে করবে।
দুর্নীতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি সব সময় ছিল। ভবিষতে যাতে দুর্নীতি কমে যায়, তার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। আমরা সেই কাজটি করে যাচ্ছি। একটা স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে যে কাউকে তলব করছে। যেখানেই দুর্নীতির আভাস পায়, কিংবা যেকোনও দুর্নীতির কারণ খুঁজে পায়, আমাদের বিভাগীয় প্রসিডিং সেখানে করা হচ্ছে। আমাদের যা যা করণীয় সব করছি। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, যে-ই দুর্নীতি করবে, যে-ই আইন অমান্য করবে, অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি হবে, বিচার হবে।
নিরাপত্তার নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা এ ধরনের ক্রাইম করে, তারা যথেষ্ট মেধা নিয়ে ক্রাইম করে। ইদানীং দেখছি, সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য আমরা সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে শক্তিশালী করেছি। আমাদের পুলিশের একটা ইউনিটই গঠন করেছি সাইবার ক্রাইম দমনের জন্য। আমাদের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেল (এনটিএমসি) শক্তিশালী করছি।জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্টগার্ড, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং এনটিএমসি’র প্রধানরা চুক্তিতে সই করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সাথে এর আওতাধীন ২০টি দপ্তর/সংস্থার ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে কাজের গতি ও জবাবদিহিতা বাড়বে এবং সম্ভাব্য উপকারভোগীরা লাভবান হবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের পর সংশ্লিষ্ট সংস্থা এ চুক্তি বাস্তবায়ন এবং নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এ চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় রুপকল্প ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
চুক্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার পক্ষে স্বাক্ষর করেন দপ্তর/সংস্থা প্রধান অথবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা। ২০টি দপ্তর/সংস্থার পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় সেগুলো হচ্ছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট, রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, চট্টগ্রাম ওয়াসা, খুলনা ওয়াসা, রাজশাহী ওয়াসা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন,রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন,গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন,সিলেট সিটি কর্পোরেশন,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকে দপ্তর/সংস্থাসমূহের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো এবং আগামী জুলাইতে সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থ-বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক কাজ করতে হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ি শৃংখলাবদ্ধ থেকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা যায়। জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রণালয়ের কাজ আরো গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক করতে এই চুক্তির ভূমিকা অপরিহার্য। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীনস্থ বিভাগ ও সংস্থা সমূহের প্রধানদের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি শুধু কাগজে কলমে না থাকে মেধা ও শ্রম দিয়ে তা বাস্তবায়নে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে তার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১০টি দপ্তর ও সংস্থার সাথে মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী উপস্থিতিতে গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদের সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) বেগম ইয়াসমিন আফসানা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর ইয়াহইয়া সৈয়দ, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট সাজিদ হোসেন এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনসটিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ১০০ এর মধ্যে ৯৫ দশমিক ৩৪ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ১০০ এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত ৮৫ ভাগ অর্জন করেছে।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।