Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে হজ পালনের ব্যয় কম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এড. শেখ মোঃ আবদুল্লাহ বলেছেন, সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের হজ পালনে নির্ধারিত ব্যয় পার্শ্ববর্তী ভারতের মুসলমানদের ধার্য্যকৃত ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুন তথ্যটি সঠিকত নয়। বরং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হজ পালনে বাংলাদেশে কম। গতকাল রোববার হাজী মোঃ সেলিমের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে ধর্মমন্ত্রী এতথ্য জানান। স্পিকারের সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।
ধর্মমন্ত্রী এড. শেখ মোঃ আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী আমাদের পর্শ্ববর্তী ভারতের মুসলমানদের সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ যাত্রীর ব্যয় ছিল অঞ্চলভেদে ২ লাখ ৪৬ হাজার থেকে ২ লাখ ৮৫ হাজার রুপী যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা। একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৪-৫ লাখ রুপী। অথচ ওই বছরে বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-বি এর হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-এ এর ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। এখানের হজযাত্রীদের ব্যয় আরো কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলশ্রচতিতে অন্যান্য বছরের ন্যায় ২০১৯ সালে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি না করে ১০১৯৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
মোঃ মোজাফফ্র হোসের প্রশ্নের জবাবে শেখ আবদুল্লাহ বলেন, প্রতি বছরই পবিত্র হজ গমন ইচ্ছুকগণের অনেকে বিমানের টিকিট না পাওয়ায় ফিরিয়ে যেতে হয় কথাটি সঠিক নয়। ২০১৮ সালে নিবন্ধিত সকল হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তবে ২০১৭ সালে এ ধরণের অনিয়মের কারণে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ আগামী ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
জঙ্গিবাদী চিন্তা থেকে যুবসমাজকে
মুক্ত রাখতে কাজ করছে সরকার
মোঃ মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জঙ্গিবাদী চিন্তা থেকে ছাত্র ও যুবসমাজকে মুক্ত রাখতে দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭ দফতর ও সংস্থার মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
নূর সোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করিয়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, পৃথক ভাবে উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক অডিটরিয়াম নির্মাণ করা হবে না।
মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের প্রশ্নের কে এম খালিদ বলেন, ভবিষৎ প্রজন্মকে গণহত্যা, নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এই মন্ত্রণালয় একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গণহত্যা, নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষণার উপর দশটি শিরোনামের মোট ৭০০ বই ক্রয় করে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামীর প্রজন্ম দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ