পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চরম ভোগান্তির শিকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীরা। ঘন্টার পর ঘন্টা সড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে। অন্তত ৫০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে সময় ও অর্থের অপচয় তো হচ্ছেই সেই সাথে বাড়ছে ভোগান্তি।
এরই মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বর্তমান ক্ষতিগ্রস্ত নড়বড়ে বেইলী ব্রিজের স্থানে একটি বেইলী ব্রিজ স্থাপন করবে বলে নির্বাহী প্রকৌশী জানিয়েছেন। এ জন্য অন্তত ১০/১২দিন সময় লাগতে পারে। পাশাপাশি ভাঙা ব্রিজের পাশেই নির্মিতব্য নতুন ব্রিজটি আগামী জুলাই মাসের শেষ দিকে চালু হবে বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রাক্ষণবাড়িয়ার এসডি ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান। গত মঙ্গলবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের শাহবাজপুরে সিলেটগামী অংশে তিতাস নদীর ওপর সেতুটির চতুর্থ স্পেনের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। দেশের পূর্ব জনপথের প্রবেশ দ্বার খ্যাত ব্রাক্ষণবাড়িয়ার শাহবাজপুর ব্রিজের রেলিং ও চলার পথ ভেঙে তিতাস নদীতে পড়ে যায়। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে ভারী যান চলাচল। এ ব্রিজের উপর দিয়ে এখন ভারী কোন যানবাহন চলাচল করছে না। তাই মাইলের পর মাইল তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে যানজট।
সরেজমিন শাহবাজপুর ব্রিজ এলাকায় অবস্থানকালে কিশোরগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী উম্মে সালমা সাংবাদিকদের বলেন, ৩ ঘন্টা ধরে অবস্থান করছি। ব্রিজ পার হওয়ার কোন উপায় নেই। সারা রাস্তায় যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার। আরেক যাত্রী জাহিদ হাসান বলেন, প্রথম শ্রেণির টিকেট কেটে সিলেট যাবার জন্য বাসে ঢাকা থেকে এসেছি এখন ৫০ মাইল ঘুরে যেতে হবে। দেখা গেছে নারী ও শিশু যাত্রীরা কষ্ট করছে। ঢাকা থেকে শাহবাজপুরে এক যাত্রী অভিযোগ করে জানান, সড়ক দুর্ভোগের ফাঁকে এখন হাইওয়ে পুলিশের অন্যভাবে অর্থ কামাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। কুট্রাপাড়া মোড়ে ট্রাক নিয়ন্ত্রন করা হয়। সারাদিন বেশ কিছু ট্রাক বসিয়ে রাতে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা করে প্রতি ট্রাক চালকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভাঙা নরবড়ে ব্রিজ পার করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অথচ সড়ক বিভাগ মঙ্গলবার থেকে ব্রিজ দিয়ে ভারী যানচলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ব্রাক্ষণবাড়িয় ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের সদস্যরা লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে সড়ক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে। পাশ্ববর্তী যে ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি আরো ৬ মাস আগেই কাজ সমাপ্ত করার কথা ছিল। অথচ নির্ধারিত সময়ে সে কাজ শেষ করার তেমন তোরজোড় ছিল না। বিজয়নগরের এক যাত্রী জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে চান্দুরা থেকে সিলেটের শেরপুর পর্যন্ত যানজন ছিল।
এদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানবাহন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলার আভ্যন্তরীণ সড়ক ব্যবহার করে বিকল্প চলাচল করছে। এতে সে সব সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিপুল সংখ্যক যানবাহনের চাপে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর অবস্থা খুবই সুচনীয়। অন্যদিকে চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে বেশ কিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কেই পূর্বাঞ্চলের যানবাহনের ঢল নেমেছে। ভোগান্তি উঠেছে চরমে। এ সড়ক মাত্র ৫ মিটার প্রশস্ত। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক পাড়ি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে কয়েক ঘণ্টা।
বিকল্প সড়ক সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই এবং রতনপুর দিয়েও চলাচল করছে ঢাকা-সিলেটগামী যান। নাসিরনগরের ফান্দাউক-রতনপুর সড়কে ভারী যানবাহনের চাপে কয়েক ঘণ্টাতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের স্থানে স্থানে ৮/১০ জায়গায় ভেঙে গেছে। ব্রিজ ও রাস্তার পাশে সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দক। বিজয়নগর থেকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া আসা এক যাত্রী জানান, ১৭ কিলোমিটার পথ আসতে তার সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টারও বেশি। যানজটের কারণে দুর্ঘটনাও ঘটছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন বলেন, ব্রিজটি চলাচল উপযোগী করতে আরো ১০/১২দিন সময় লাগবে। দ্রুত শেষ করার জন্য আমাদের কর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।