Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীর পদ্মায় নৌ পুলিশের যাত্রা শুরু

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

রাজশাহীর পদ্মা নদীতে প্রথম যাত্রা শুরু করেছে নৌ পুলিশ। দশজন জনবল নিয়েই রাজশাহীর পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলায় দুটি নৌ পুলিশ ফাঁড়ি খোলা হয়েছে। পবা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কার্যালয় খোলা হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠে বসড়ি এলাকার বাঁধের পাশে। আর গোদাগাড়ীতে ফাঁড়ির কার্যালয় খোলা হয়েছে উপজেলার রেলবাজার এলাকায়। পবা পুলিশ ফাঁড়িতে এখন একজন পরিদর্শক, একজন সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও পাঁচজন কনস্টেবল রয়েছেন। আর গোদাগাড়ীতে একজন করে রয়েছেন পরিদর্শক, এএসআই ও কনস্টেবল। অতি স¤প্রতি তারা নৌ পুলিশ ফাঁড়িগুলোতে যোগ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নৌ পুলিশের সদর দপ্তর ঢাকার মিরপুরে। তবে এ বাহিনীর রাজশাহী অঞ্চল পরিচালিত হয় টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে। সেখানে একজন সহকারি পুলিশ সুপার দায়িত্বে রয়েছেন। সেখান থেকে নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে রাজশাহীর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। আগামীতে রাজশাহী মহানগরীতে একটি নৌ থানা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
পবা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মেহেদী মাসুদ জানান, রাজশাহীতে নৌ পুলিশের যাত্রা শুরু করার সকল প্রক্রিয়া শেষে গেল বছরের অক্টোবরে তাকে এখানে পাঠানো হয়। তিনি এসে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যালয় খোলেন। তবে তিনি ছাড়া আর কোনো জনবল ছিল না। স¤প্রতি জনবল পাওয়া যায়। মেহেদী মাসুদ জানান, রাজশাহীতে নৌ পুলিশের পরিধি হবে গোদাগাড়ী থেকে চারঘাট উপজেলা পর্যন্ত পদ্মা নদী। এ জন্য চারঘাট ক্যাডেট কলেজের কাছে আরও একটি নৌ পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া রাজশাহী পুলিশ লাইনের সামনে পদ্মা নদী তীরে একটি থানা স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। পদ্মা নদীতে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জাটকা ধরা এবং নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ নিধন এবং অবৈধ জালের ব্যবহার ঠেকাতে পদ্মা নদীতে কাজ করবে নৌ পুলিশ। যতদিন নিজস্ব থানা না হচ্ছে ততদিন যে থানা এলাকায় অভিযান চালানো হবে সে থানাতেই আইনগত ব্যবস্থা নেবে নৌ পুলিশ। গত বুধবার রাতে পবা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা প্রথমবারের মত পদ্মা নদীতে অবৈধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন।
এদিন তারা চর খিদিরপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার টাকার অবৈধ জাল জব্দ করে। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের ছিল আড়াই হাজার মিটার বেড়জাল এবং ৯ হাজার টাকা মূল্যের ৩০০ মিটার কারেন্ট জাল। জালগুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ