প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : তাজা কবরের ওপর ঘর বাড়ি বা স্থাপনা তৈরি করা যাবে না। কবর যদি এত পুরনো হয় যে, একথা বিশ্বাস করা যায় যে, এর ভেতর মৃত দেহের সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটেছে। তাছাড়া তাদের প্রজন্মও পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে, মানে আবেগ অনুভূতিও ততটা বাকী নেই। যেমন পিতা-মাতা, দাদা-দাদীর আগেকার পূর্বসূরীদের নতুন প্রজন্ম চেনে না। এসব দিক নিশ্চিত হলে প্রয়োজনে কবরের জায়গাটি নতুন কবর বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যায়। আর তাই, কবর পাকা বা স্থায়ী অবকাঠামো ইসলামে নিষিদ্ধ। যেন কবরই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সমস্যার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে সাধারণ গোরস্তানে কবর দেয়া এ জন্যই উত্তম। আপনারা আলোচনার আলোকে অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে, সাবধানতা সত্তে¡ও যদি কোনো কবরের ভেতর হাঁড়-গোড় ইত্যাদি পাওয়া যায়, তাহলে এসব যত্ন সহকারে অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে বা গোরস্থানে মাটিতে দাফন করে দিতে হবে।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।