পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশজুড়ে ভ্যাপসা তীব্র গরমের মধ্যেই অবশেষে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উপকূলভাগ সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে মেঘ-বৃষ্টিবাহী মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। অন্যদিকে বর্ষারোহী দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আজকালের মধ্যে সারাদেশে বিস্তার লাভ করতে পারে।
আবহাওয়ার উপরোক্ত দুটি সম্ভাব্য পরিবর্তনের প্রভাবে দেশে পঞ্জিকা অনুসারে ‘ঋতু’ বর্ষাকালের সাথে বাস্তবের বর্ষাকাল ক্রমেই জেঁকে বসতে পারে। সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে বেড়ে যেতে পারে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, আগামী কয়েক সপ্তাহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের হার বেড়ে যেতে পারে। আবহাওয়ার খরতপ্ত অবস্থা থেকে বৃষ্টিপাতের আবহ তৈরির এমন পালাবদল সময়ে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। বজ্রপাতের দুর্যোগ সম্পর্কে বিশেষ করে বজ্রাঘাতের ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক পর্যায়ে সার্বিক সতর্কতা, গণসচেতনতা প্রয়োজন।
এদিকে আষাঢ়ের পঞ্চম দিনে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফে ৩২ মিলিমিটার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ছাড়া দেশের আর কোথাও তেমন বর্ষণ হয়নি। অধিকাংশ জেলায় তাপদাহে সূর্যের কড়া রোদের অসহ্য দহনে কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়ে যায়। গরমের তীব্রতার সাথে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিং বেড়ে গেছে। আষাঢ়ে এসে স্বাভাবিক বৃষ্টির বদলে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের কারণে ভাইরাসজনিত জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে ঘরে ঘরে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় ৩৬.৬, চট্টগ্রামে ৩২.৫, রাজশাহীতে ৩৮.৪, রংপুর ও খুলনায় ৩৭, ময়মনসিংহ ও সিলেটে ৩৬.৫, বরিশালে ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা।
আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।