Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার পানিতে ভেসে গেল চাষিদের স্বপ্ন

লালমনিরহাট চরাঞ্চল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও হঠাৎ বন্যায় ভেসে গেছে লালমনিরহাটের চরাঞ্চলের চাষিদের উৎপাদিত বাদাম ও ভুট্টা। গতকাল বুধবার বিকেল থেকে উন্নতি হতে শুরু করেছে তিস্তা তীরবর্তী লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি।

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। রাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। ফলে তিস্তার তীরবর্তী লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে জেলার প্রায় ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

হঠাৎ রাতের আঁধারে বন্যার তোড়ে ভেসে যায় তিস্তার চরাঞ্চলের চাষিদের কষ্টে অর্জিত উঠতি বাদাম ও ভুট্টা। ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে চরাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। কৃষকদের কষ্টের ফসল ঘরে তোলার মুহূর্তে রাতে হঠাৎ বন্যা শুরু হওয়ায় ফসল রক্ষা করতে পারেননি তারা। গোবর্দ্ধন মাঝের চরের বাদাম চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে চরাঞ্চলের এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাদামের ফলনও বাম্পার হয়েছিল। সেই ক্ষেতের সামান্য কিছু বাদাম মঙ্গলবার ঘরে তোলেন। বাকিগুলো বুধবার ঘরে তোলার কথা ছিল। কিন্তু রাতেই হঠাৎ বন্যার পানি এসে তার বাদাম ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। অনেক বসতবাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ