পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়’ (সুকান্ত ভট্টাচার্য)। বিশ্ব সত্যিই অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রণের যাদু দেখে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সাফল্যে বিশ্বের রোল মডেল এখন বাংলাদেশ। জাতিসংঘ ১৯৬৯ সালে পিতামাতার স্বাধীনভাবে সন্তান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর ১৯৭৫ সালেই বাংলাদেশ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ১৯৭৫ সালে সক্ষম দম্পতি প্রায় ৮ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেন। প্রতি দশকে এর ব্যবহার বেড়েছে। ৪৪ বছরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের এই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার বেড়ে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের সঙ্গে মোট প্রজনন হারের (টোটাল ফার্টিলিটি রেট-টিএফআর) সম্পর্ক সরাসরি। ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারী যত সন্তানের জন্ম দেন, সেটাই টিএফআর। ১৯৭৫ সালে নারীরা মোট ছয়টির বেশি সন্তানের জন্ম দিতেন (টিএফআর ছিল ৬ দশমিক ৩)। বর্তমানে টিএফআর ২ দশমিক ০৫ শতাংশ। টার্গেট ২০২১ সালের মধ্যে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা, যা খুব শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে গত সোমবার জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বর্তমান ৭৭০ কোটি জনসংখ্যার সঙ্গে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে আরও ২০০ কোটি যোগ হয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যা ৯৭০ কোটিতে উন্নীত হবে। একই সঙ্গে চলতি শতকের শেষ দিকে বিশ্বের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে, যা হবে প্রায় ১১০০ কোটি। নতুন অনুমান অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যার যে বৃদ্ধি হবে তার অর্ধেকের বেশি হবে নয় দেশ, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রে। এ তালিকায় বাংলাদেশ নেই। অথচ স্বাধীনতার পর একদল ম্যালথাসীয় ঘরানার তাত্তি¡ক তো বলেই ফেলেছিলেন যে, বাংলাদেশ একটা ‘পপুলেশন টাইম বোমার’ ওপর বসে রয়েছে। বিষয়টি পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৪ সালে যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, সেখানে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বর্তমানে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশে নেমে এসেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর কোনো দেশ এমন সাফল্য দেখাতে পারেনি। এমনকি ‘ছেলে হোক মেয়ে হোক এক সন্তানেই যথেষ্ট’ এ নীতি গ্রহণ করেও বাংলাদেশের মতো সাফল্য দেখাতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নানা পদ্ধতিতে ‘জন্ম নিয়ন্ত্রণ’ পদ্ধতি ব্যবহারে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশ যেভাবে প্রচারণা চালিয়েছে বিশ্বের কোনো দেশই সেভাবে চালাতে পারেনি। ফলে সাফল্য এসেছে এই ধারায়। বিশ্বের অনেক দেশই এখন বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৫ সালে সক্ষম দম্পতি প্রায় ৮ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। প্রতি দশকে এর ব্যবহার বেড়েছে। ২০০০ সালে এই হার বেড়ে ৫৪ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপরের ১০ বছরে গতি অনেকটা শ্লথ হয়ে পড়ে। ২০১১ সালে এর হার ছিল ৬১ দশমিক ২ শতাংশ। তবে বর্তমানে ব্যবহারের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশে। এর মধ্যে শহর এলাকায় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৬৪ শতাংশ এবং পল্লী এলাকায় ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে আধুনিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করছে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং যে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করছে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ।
বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৮-এর পরিসংখ্যান মতে, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা ১৬৫ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৭শ’ কর্মক্ষম। যাদের মধ্যে ২৯ ভাগের বয়স ১৫ থেকে ২৪ এর মধ্যে। যা মোট জনগোষ্ঠীর ৩১ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কর্মক্ষম এবং নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কম। এই অবস্থা ২০৩০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ, কিশোরীদের গর্ভবতী হওয়া, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের হার বাড়ানো, ড্রপআউট বন্ধ করাসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে না।
প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে পরিবার পরিকল্পনাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তবে এখনো এ মানবাধিকার সর্বস্তরে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বর্তমান বিশ্বে ২১৪ মিলিয়ন নারী তাদের অতি প্রয়োজনীয় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে অবধারিতভাবে অনকাক্সিক্ষত গর্ভধারণের ঘটনা ঘটছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের তথ্য মতে, দেশে এখনো ৫৯ ভাগ মেয়ের বিয়ে হয় বয়স ১৮ পূর্ণ হওয়ার আগেই। আর ১৫ বছরের আগে বিয়ে হয় ১৮ দশমিক ১ শতাংশের। ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর শীর্ষে অবস্থানকারী দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম এবং ১৫ বছরের আগের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৬ষ্ঠ অবস্থানে। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী বিবাহিত কিশোরীদের ৩১ ভাগই প্রথম বা দ্বিতীয় বারের মতো গর্ভবতী হন। এই বয়সী কিশোরীদের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৪৭ শতাংশ। এদের মধ্যে আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের হার ৫৪ দশমিক ১ ভাগ এবং ড্রপ আউটের হার ৩০ শতাংশ। এখনো ৬২ ভাগ সন্তান প্রসব হয় বাড়িতে। এই পরিসংখ্যান থেকে সহজেই বোঝা যায় দেশে পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত মানবাধিকার কতটা অসহায়।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের বিবাহিত নারীদের ৯০ শতাংশই মনে করে, ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দেয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাঁদের ৯৪ শতাংশের মত, মেয়েদের বিয়ের উপযুক্ত বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমাদের দেশে এখনো কন্যা শিশুর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পরিবার থেকে। এমনকি ১৮ বছরের কম বয়সী যে কিশোরীর বিয়ে হলে সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণেও তার কোন ভূমিকা থাকে না। ফলে বাল্যবিবাহ, শিশুবিবাহ, সন্তান গ্রহণ, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ইত্যাদি ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। একই সঙ্গে এটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অথচ যেকোন দম্পতির সন্তান গ্রহণ, দুই সন্তানের মাঝে বিরতি ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার শুধুমাত্র তাদের। এটি নিশ্চিত করতে পারলে খুব সহজেই জনসংখ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান সম্ভব-মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।
ইউনিসেফের তথ্য বলছে, কুড়ি বছরের আগে মেয়েরা সন্তান জন্ম না দিলে বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৩ হাজার শিশুর জীবন রক্ষা পাবে।
আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, একটি মেয়ের নিজে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অর্জনের আগেই তার বিয়ে সমাজ বা ওই মেয়েটির জন্য ভালো নয়। অন্তত মেয়েটিকে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, আঠারোর আগে শারীরিক-মানসিক কোনো দিক দিয়েই একটি মেয়ে বিয়ে এবং গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত হয় না।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. ফারহানা দেওয়ান বলেন, সন্তান ধারণের জন্য শরীরের প্রস্তুতি প্রয়োজন। ‘পিউবার্টি’ বলি আমরা যে বয়সে প্রথম পিরিয়ড হবে -তার পরে আস্তে আস্তে তার বডিটা ডেভলপ করবে। এই ডেভলপমেন্টের জন্য একটা সময় দিতে হয়। পনের থেকে আঠারো বছর পর্যন্ত এই শরীর গঠন চলতে থাকে। আঠারো বছরের আগে যদি মেয়েদের বিয়ে দেয়া হয় তখন তার প্রপার গ্রোথ হয় না। এক্ষেত্রে গর্ভধারণ করলে প্রিম্যাচিওর ডেলিভারির শঙ্কা থাকে। যেটি শিশুর মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করে। দেখা যাচ্ছে, বাল্যবিবাহ মেয়েদের স্বাস্থ্যে সমস্যার পাশাপাশি শিশু মৃত্যুরও অন্যতম কারণ- উল্লেখ করেন ডা. ফারহানা।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার বলেন, সন্তান গ্রহণের সিদ্ধান্ত একটি মানবাধিকার। প্রতিটি পরিবার পরিকল্পিত হোক, সকল দম্পতি যেন স্বাধীনভাবে সন্তান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাদের ওপর যেন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া না হয়- সেটা তথ্য ও সেবা দিয়ে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ থেকে ৫০ বছর আগে মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পরিবার পরিকল্পনাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বিশ্বে পরিবার পরিকল্পনা সেবাগুলোকে অনেকগুলো অধিকারের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন দ্বারা সমর্থিত।
১৯৬৯ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের স্মারক ২৫৪২ (১৯) ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, পিতা-মাতা মুক্ত ও স্বাধীনভাবে সন্তান গ্রহণ এবং বিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ১৯৯৪ সালে মিসরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা পত্রের ধারা ৮-এ বলা হয়েছে, সন্তান সংখ্যা, দুই সন্তানের মাঝে বিরতি দেয়ার বিষয়টি ব্যক্তির অধিকার।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিটের পরিচালক আশরাফুন্নেছা বলেন, পরিবার পরিকল্পনা সেবা বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের সুযোগ নারীদের পছন্দমতো সন্তান গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। যা নারী এবং নবজাতক উভয়েরই কল্যাণ বয়ে আনে। পাশাপাশি মাতৃমৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করে, নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। আশরাফুন্নেছা বলেন, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কিশোরী মাতৃত্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় বাধা। তাই কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিরবচ্ছিন্ন করতে হবে।
সূত্র মতে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বহুমুখী কর্মকান্ডে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার প্রতিদিনই বাড়ছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৭টি অপারেশনাল প্ল্যান হাতে নেয়া হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহারের হার ৭০ ভাগে উন্নীত করা। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রান্তিক পর্যায়ে মেলা এবং গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। প্রচার কার্যক্রমে প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার বলেন, পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদার হার পূরণের চেষ্টা চলছে। যারা পদ্ধতি গ্রহণ করতে চান কিন্তু সেখানে পৌঁছানো যাচ্ছে না, যোগাযোগ গ্যাপ রয়েছে, তাদের কাছে যাওয়ার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ দেয়ার জন্য একটি কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। যার নম্বর ১৬৭৬৭ (সুখী পরিবার)। এছাড়া দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে জনবল নিয়োগ, প্রথম প্রসব বিলম্বিত করতে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ, এনজিও’র সাথে সমন্বিত কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।