Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিনি সশিক্ষিত ও আলোচিত

মহসিন রাজু | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বগুড়া সদর সংসদীয় আসনের নির্বাচনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র তিনিই স্বশিক্ষিত। বাকিরা কেউ এসএসসি কেউ ডিগ্রী পাশ কেউ আবার পিএইডি ডিগ্রীধারী। তবে আলোচনায় রয়েছেন তিনিই।
বগুড়া বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জিএম সিরাজের প্রচারণা বহরে হামলা চালিয়ে হয়েছেন বিশেষভাবে আলোচিত। নির্বাচনের মাঠে হঠাৎ আলোচনায় আসা স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ্ব মন্ডলের এসব কাজে বড় দল হিসেবে বিএনপি যেমন লজ্জায় পড়েছে তেমনি বাহবা পাচ্ছেন প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের।

তবে জনসাধারণের কাছে আলোচনার মূল মশলা তার প্রবাসজীবন নিয়ে। জানা গেছে, মিনহাজ্ব মন্ডল প্রায় ২ দশক আগে একজন শ্রমিক হিসেবে চাকরি নিয়ে মালেশিয়ায় যান। ভাগ্য ও কর্মগুণে সেখানে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন ব্যাপকভাবে। মালয়েশিয়ায় অথনৈতিক সেক্টরে রয়েছে তার ব্যাপক বিনিয়োগ। বগুড়ার বিভিন্ন দলের যেসব কোটিপতি মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ ও বিনিয়োগের জন্য যান তাদের ব্যাপকভাবে সহায়তা করেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় দেখা যায়, বগুড়ার শাখারিয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে একতলা নির্মাণাধীন বাড়ী রয়েছে যার মূল্য দেখনো হয়েছে ৬ লাখ টাকা । মালিকানাধীন কৃষি জমি রয়েছে ৪৫ বিঘা ও অকৃষি ভিটা জমি রয়েছে ২ বিঘা ১৬ শতক। পোলট্রি ফার্মে বিনিয়োগ আছে ৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ইলেকট্রনিক ব্যবসার মূলধন ৪ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর নামে নগদ সঞ্চয় দেখানো হয়েছে ১৮ লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার। তবে এই বিপুল সম্পত্তি ও ব্যবসার বিপরীতে তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তার কোন আয়কর ফাইল বা টিন নাম্বার নেই। ব্যক্তিগত ভরণ পোষণের ব্যয় মাত্র ১ লাখ টাকা। তবে তার মালয়েশিয়ায় অবস্থানের বিষয়টি হলফনামায় নেই। সেখানে তিনি চাকরি করেন নাকি ব্যবসা তাও জানাননি।

এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার বগুড়ার নির্বাচন কমিশন অফিসে গেলে কর্মকর্তাদের ব্যস্ততার কারণে তাদের মতামত জানা যায়নি। বিএনপির একটি সূত্র জানায়, মিনহাজ্ব মন্ডল মালয়েশিয়া যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বগুড়া সদর যুবদলের উপদেষ্টাও তিনি। তার ভাই ইখলাস মোল্লাও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপির মনোনয়নে তার ভাই ইউপি নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে ইখলাসের পরাজয়কে ঘিরে সেসময় মিনহাজ¦ একজন সিনিয়র সাংবাদিককে হুমকিও দেন। ফলে ওই সাংবাদিক বগুড়া সদর থানায় একটি জিডি করেন যার তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও চলমান।

বিএনপির নির্বাচনী বহরে হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে হুমকি ধামকি দিয়ে বলেন, বিএনপি করেন তিনি, পারলে দল বহিষ্কার করুক। তিনি আরও বলেন, আলোচিত হওয়ার জন্যই তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ