পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছেন রূপালী ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডাররা। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে রূপালী ব্যাংকের ৩৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৮ সালের জন্য ডিভিডেন্ড অনুমোদন দেয়। ব্যাংকিং খাত নিয়ে যখন নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে তখন সারা বছরই ইতিবাচক আলোচনায় ছিল ব্যাংকটি। তাই ব্যাংকটির এজিএম ঘিরে প্রত্যাশাও ছিল বিনিয়োগকারীদের। সেই প্রত্যাশা পূরণে সফল হয়েছে রূপালী ব্যাংক।
এজিএমে সভাপতির বক্তব্যে রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের উন্নয়নে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে চলেছে রূপালী ব্যাংক। সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে রূপালী ব্যাংকের সার্বিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
এজিএমে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে যে বিষয়গুলো পরিপালন করতে বলা হলো তা সবগুলোই পরিপালনযোগ্য এবং আমরা এগুলো পরিপালন করার জন্য সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবো। ২০১৬ সালে যখন আমরা দায়িত্ব নেই তখন এটি ছিল একটি লোকসানি ব্যাংক। তখন ব্যাংকের লোকসান ছিল ১শ’ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে এসে ব্যাংকের মুনাফা হয়েছে ৫৩৭ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালেও এই মুনাফার ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে সরকার, রেগুলেটরি বডি, পরিচালনা পর্ষদ, ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অব্যাহত সমর্থনের ফলে।
রাষ্ট্রায়ত্ব ৪টি ব্যাংকের মধ্যে রূপালী ব্যাংক সবচেয়ে ছোট হলেও গ্রাহক সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকটির ২ কোটির ওপরে গ্রাহক রয়েছে। রূপালী ব্যাংক এককভাবে ১২০ মিলিয়ন ডলার এফডিআই (প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ) দেশে এনেছে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম রুহুল আজাদ বলেন, ব্যাংকের ধারণা এখন আর আগের মতো নেই। শুধু টাকা জমা দেওয়া, টাকা নেওয়া, মুনাফা করা নয়, ব্যাংকের সেবা এখন অনেক দুর পর্যন্ত বিস্তৃত। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিদিন সকালে যখন আমরা পত্রিকা পড়ি তখন দেখতে পাই পত্রিকার একটা বড় অংশ জুড়ে আর্থিক খাত ও শেয়ার বাজারের সংবাদ। আর এসব সংবাদের মধ্যে ইতিবাচক সংবাদ খুব কমই থাকে যদিও ব্যাংকগুলো অনেক ইতিবাচক কাজ করে। পত্রিকায় যেসব সংবাদ আসে সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আমরা আরও ভালো কাজ করতে চাই।ব্যাংকিং সেক্টরের মধ্যে এই রূপালী ব্যাংকের অনেক সাফল্য রয়েছে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দোড়গোরায় দাঁড়িয়ে। যত দ্রæত উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে ততই আর্থিক খাত শক্তিশালী হবে। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সবার আগে রূপালী ব্যাংকই চালু করেছে। আমার বিশ্বাস, সামনে যত আধুনিক ধ্যান ধারনা আসবে সেগুলোও রূপালী ব্যাংক সবার আগে বাস্তবায়ন করে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করবে। এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষায় রূপালী ব্যাংক যেসব কাজ করছে এর আওতা আরও বাড়াতে হবে। কারণ, মুনাফাই মূখ্য বিষয় নয়। মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। সেবার মানও আরও বাড়াতে হবে। আর সেবা বাড়লে মুনাফা এমনিতেই বাড়বে। রূপালী ব্যাংকের উন্নয়নে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক অরিজিৎ চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, একেএম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ, দীনা আহসান, মো. খলিলুর রহমান, মো. রিজওয়ানুল হুদা, মো. আবদুল বাছেত খান।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয় রূপালী ব্যাংক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯১ শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে রয়েছে। এজিএমে অন্যান্যদের মধ্যে শেয়ার হোল্ডাররা, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোরশেদ আলম খন্দকার, বেলায়েত হোসেন, মহাব্যবস্থাপকবৃন্দসহ ব্যাংকের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।