পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্স খাতের কর অব্যহতিসহ ১১টি বিষয় বিবেচনার দাবি জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তাদের সংগঠনগুলো। গতকাল (রোববার) সকালে রাজধানীর একটি হোটেল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, ই-কমার্স, ফাইবার অপটিকস, এনটিটিএন, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে কর মওকুফ।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহীদ-উল-মুনির, ইন্টারনেট সার্ভিসেস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম, ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসাইন।
সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজেট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। গতবারের তুলনায় আইসিটিখাতে বরাদ্দ বেড়েছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য ১শ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা প্রশংসার দাবিদার।
বাজেটে ই-কমার্স খাতের উপর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাটের আপত্তি জানিয়ে বেসিস সভাপতি বলেন, এই খাতে এখন অনেক ছেলে-মেয়ে কাজ করছে। উদিয়মান এই খাতের বিকাশে এই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, বাজেট ভালো হলেও আইসিটিখাতের কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। কিছু জায়গায় নতুন করে ভ্যাট ও ট্যাক্স আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে। এই খাতের উন্নয়নে সেগুলোর পরিবর্তন চাই আমরা।
তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের উপর আগাম কর অব্যাহতি চেয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহীদ-উল-মুনির বলেন, সেবার কোডের উপর আগের ৫ শতাংশ মূসক থাকলেও এবার তা বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা চাই এটা আগের ৫ শতাংশ বহাল রাখা হোক। এছাড়া ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের মূসকমুক্ত রাখার দাবি জানান তিনি। বাজেটে ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর মূসক মুক্ত রাখা হয়েছে।
ফাইবার অপটিক ক্যাবল’র ওপর ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি এবং এনটিটিএন সংযোগের উপর থেকে ৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহারের দাবি জানান ইন্টারনেট সার্ভিসেস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম। তিনি বলেন, ফাইবার অপটিক এবং এনটিটিএন’র মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সমিশন খরচ এমনিতেই অনেক বেশি। যে কারণে ঢাকার বাইরে ইন্টারনেটের দাম বেশি হয়। তার ওপর ভ্যাট ও কর আরোপ ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে ১৫ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে এক হাজার ৯২০ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।