পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে দেশ দাবি করা হলেও বৈশ্বিক শান্তিসূচকে (জিপিআই) বড় ধরনের অবনতি ঘটেছে বাংলাদেশের। এই সূচকে গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে ৯ ধাপ অবনতি ঘটেছে। গত বছর বিশ্ব শান্তির এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম ছিল। তবে ২০০৮ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ দেশের শীর্ষে থাকা আইসল্যান্ড এবারও প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। এরপরেই রয়েছে, নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয়), অস্ট্রিয়া (তৃতীয়), পর্তুগাল (চতুর্থ) ও ডেনমার্ক (পঞ্চম)। এ বছর অবনমন ঘটে বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছে ১০১তম অবস্থানে। তবে এবারের সূচকে ভারত (১৪১তম), পাকিস্তানের (১৫৩তম) চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। একেবারে তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান (১৬৩তম)।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) বিশ্ব শান্তি সূচক-২০১৯ তৈরি করেছে। সূচকে বিশ্বের স্বাধীন ১৬৩টি দেশের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ জীবন-যাপন, অর্থনৈতিক মূল্য, ট্রেন্ড এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে দেশগুলোর নেয়া পদক্ষেপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। সূচকে দেখা যায় বাংলাদেশের মানুষ যাপিত জীবনে শান্তিতে বিছিয়ে পড়েছে।
জিপিআই বলছে, বিশ্ব শান্তি সূচকে ৯ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর ৯৩তম অবস্থানে থাকলেও এবছর ১০১তম অবস্থানে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে গত বছর রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ২৯৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; যা মোট দেশজ উৎপাদনের ৩ ভাগ।
এ বছরের শান্তিসূচকে বিশ্বজুড়েই সামান্য পরিমাণে শান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে জিপিআই। মানুষের জীবন যাপনে গড়ে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ হারে শান্তি বেড়েছে। তবে ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৮৬ দেশে শান্তি বাড়লেও কমেছে ৭৬টিতে।
ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস এর গবেষণা মতে পৃথিবীতে মানুষের শান্তিতে জীবন যাপনে শীর্ষ ২০-এ ঢুকে পড়া দেশগুলোর মধ্যে চমকে যাওয়ার মতো অগ্রগতি হয়েছে ভূটানের। গত ১২ বছরে দেশটির ৪৩ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। গত বছর এই তালিকায় ১৯তম অবস্থানে থাকলেও এবার দেশটি ১৫তম স্থানে উঠে এসেছে।
গত বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া সূচকের তলানিতে থাকলেও এবার আফগানিস্তান সেই স্থান দখল করেছে। আফগানিস্তান ১৬৩তম, সিরিয়া ১৬২তম, দক্ষিণ সুদান ১৬১তম, ইয়েমেন ১৬০তম এবং ইরাক ১৫৯তম অবস্থানে রয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে বসবাসরতদের ৮১ শতাংশই জলবায়ু উদ্বাস্তু। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে তারা নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে ঢাকার নোংরা বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে। ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে ১৬ শতাংশ ভূমি হারিয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।