পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোলায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মা-মেয়েকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জে দুই কিশোরী ও বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বেড়ানোর কথা বলে শ্যালিকাকে ধর্ষণ মামলায় একজনসহ বিভিন্ন স্থানে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ প্রতিবেদন :
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক কিশোরী (১৭) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বঙ্গশাসন এলাকার পারটেক্স ক্যাবলসের পাশের একটি নির্জন স্থানে ওই ঘটনা ঘটে। রাতেই পুলিশ ধর্ষক হৃদয়কে (২৮) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হৃদয় ধর্ষিতা কিশোরীর সৎ ভাই। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদি হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষিতার মা গত ১০ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে ধর্ষকের মাকে বিয়ে করেন ধর্ষিতার বাবা। কিছুদিন যাবৎ ধর্ষক হৃদয়ের কুনজরে পরে ধর্ষিতা কিশোরীর উপর। প্রায়ই কিশোরীকে নানা ভাবে উক্ত্যক্ত করতো হৃদয়। মঙ্গলবার রাতে কিশোরী বাসায় ফেরার পথে হৃদয় তাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে একটি ঝোঁপের আড়ালে ধর্ষণ করে। পুলিশ ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণ করেছে লম্পট ভাড়াটিয়া আবু কালাম শিকদার (৪৫)। এ ঘটনায় ধর্ষিতার চাচা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করার পর গতকাল দুপুরে ওই লম্পটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে আবু কালামের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালি এলাকায়। পিতার নাম সলেমুদ্দি শিকদার।
ভোলা : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেলে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর ঘটনা ধাপাচাপা দিতে ধর্ষিতা ও তার মাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ধর্ষিতার খালা তজুমদ্দিন থানায় মামলা করেছেন। মামলার জেরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূলহোতা চর মোজাম্মেলের চরের ব্লক লিডার আ. রবকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও ধর্ষিতা ও তার মাকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষিতার খালা জানান, তার বোন ও দুলাভাই দীর্ঘদিন ধরে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চর মোজাম্মেলের মুক্তিযোদ্ধা বাজারের কাজিকান্দিক ব্লকে বসবাস করছেন। গত ৪ মাস আগে তার ভাগ্নিকে ঘরে একে পেয়ে ওই ব্লকের লিডার আ. রব ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা তার বাবা-মাকে জানালে তাদের চর থেকে উৎখাত ও খুনের হুমকি দেয় আ. রব। এরপর বিভিন্ন সময় সুযোগ বুঝে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তিনি জানান, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষক আ. রব ও তার সঙ্গী কামাল জমিদার, শাহে আলম ও সেলিম গত রোববার সকালে তার বোন ও ভাগ্নিকে জোরপ‚র্বক তুলে নিয়ে যায়। একইদিন থেকে তার দুলাভাইকে চরে অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। পরে তিনি ঘটনা জানতে পেরে তজুমদ্দিন থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বেড়ানোর কথা বলে শ্যালিকাকে (১২) নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় রোববার তজুমদ্দিন থানায় মামলা করা হলে গত সোমবার রাতে পুলিশ মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (২৮) নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, সোমবার রাতে পুলিশ এ মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
বরিশাল : বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাকিব গাজী (১৮) পলাতক রয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বান্না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাকিব গাজী গুঠিয়া ইউনিয়নের বান্না গ্রামের জাফর গাজীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, রাকিব গাজী ও শিশুটির বাড়ি পাশাপাশি। মঙ্গলবারে রাকিব গাজীর মা ও শিশুটির মা কিস্তি দিতে বাড়ি থেকে দূরে একটি এনজিওর কার্যালয়ে যান। এ সুযোগে শিশুটিকে কৌশলে নিজেদের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে রাকিব। এক পর্যায়ে শিশুটি ব্যথায় ও রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাকিব পালিয়ে যায়।
রাজশাহী : রাজশাহীর মোহনপুরে দুই স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও অপহরণের দায়ে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে থানায় পৃথক দুটি মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ৭ জুন উপজেলার মৌগাছি পশ্চিম পাড়ার মফিজের ছেলে মুস্তাফিজুর (১৯) একই গ্রামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ে করার জন্য বললে ওই ছাত্রীকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামি মুস্তাফিজকে গ্রেফতার করে। অপরদিকে ইলামতপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে রায়হান (২৫) বজ্রপুর গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মীমাংসা বৈঠক বসে। সেখান থেকে পুলিশ রায়হানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। উপরিউক্ত ঘটনার শিকার দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।