পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের এক সপ্তাহ পরেও কর্মস্থলমুখী জনস্রোতে পা ফেলার ঠাঁই নেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দরসহ দক্ষিণের সব লঞ্চঘাটগুলোতে। বরিশাল নদী বন্দর থেকে প্রতিদিন ১৬-১৮টি বেসরকারি যাত্রীবাহী লঞ্চের পাশাপাশি ২টি ক্যাটাম্যারান ভ্যাসেল যাত্রী পরিবহন করছে।
গত কয়েকদিন বিআইডব্লিউটিসির নিয়মিত রকেট স্টিমার ও বিশেষ সার্ভিসের নৌযান পিরোজপুর-ঝালকাঠি থেকে বরিশাল হয়ে ঢাকা-চাঁদপুরে যাত্রী পরিবহন করলেও জন স্রোত থেমে নেই। একই অবস্থা সড়ক ও আকাশ পথেও। প্রতিদিন শুধু বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকেই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ঢাকায় যাচ্ছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গসহ খুলনা অঞ্চলেও বিপুল সংখ্যক বাস যাত্রী পরিবহন করছে। সরকারি-বেসরকারি আরো অন্তত ৭০টি বাস বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের মাওয়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে প্রতিদিনিই বাড়তি ভাড়ায় গড়ে ২টি করে ফ্লাইটে যাত্রী যাচ্ছে ঢাকায়।
গত শনিবার থেকেই তিল ধরার ঠাঁই নেই কোন নৌযানে। এ অবস্থাতেই বিআইডব্লিউটিসি ঈদ পরবর্তি বিশেষ স্টিমার সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে। ঈদ পরবর্তি শুক্রবার থেকে দক্ষিণাঞ্চলের কর্মস্থলমুখী মানুষের চলাচল শুরু হলেও তা এখনো অব্যাহত আছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত কর্মস্থলমুখী জনস্রোত অব্যাহত থাকবে। মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রামে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করে ঈদের দিন থেকে। পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করে সোমবার থেকে তাদের ফিরতি যাত্রা শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রী বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা ছাড়াও চাঁদপুর হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ফেরত যাবে।
শুধুমাত্র বরিশাল নদী বন্দর থেকেই প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬৫ হাজার যাত্রী বিভিন্ন নৌযানে করে ঢাকায় যাচ্ছে। বেশিরভাগ নৌযানই রাত ৩টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে আবার বরিশালে ফেরত গিয়ে ডাবল ট্রিপে যাত্রী পরিবহন করছে। প্রায় সব নৌযানই ধারণ ক্ষমতার তিনগুন পর্যন্ত যাত্রী বহন করলেও বিআইডব্লিউটিএ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মস্থলমুখি জন স্রোতের চাপের কাছে অসহায়।
প্রতিদিনই দুপুরের আগে থেকেই টার্মিনালে থাকা ১২/১৪টি নৌযানের ডেক যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায়। সন্ধ্যার আগেই কেবিন যাত্রীরা তাদের আসন গ্রহণ করে। রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে যেসব নৌযান ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবার কথা, যাত্রীদের চাপে তা নির্ধারিত সময়ের এক-দেড় ঘন্টা আগেই বরিশাল বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে।
বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে ঈদের আগে রাষ্ট্রীয় বিমান একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করলেও ঈদের পরে সে দায়িত্ব ভুলে গেছে। এমনকি ঈদের পরের দিনও সংস্থাটি নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ রাখে বরিশালে। তবে বেসরকারি ইউএস-বাংলা ও নভো এয়ার ঈদের আগে ও পরে নিয়মিত ফ্লাইটের অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইটগুলো পূর্ণ লোড নিয়েই চালাচল করেছে। বেসরকারি এয়ারলাইন্স দুটি ভাড়াও আদায় করছে প্রায় তিনগুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।