Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটে তীব্র চাপ

দৌলতদিয়ায় যাত্রীসেবায় রোভার স্কাউট

নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী ও এম সাঈদ আহমাদ, শিবচর থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকার কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ ঢল তীব্র আকারে রূপ নেয়। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লঞ্চ ঘাটে একাধিক ব্যারিকেডের সৃষ্টি করেছেন। এরপরও হুমড়ি খেয়ে পড়েছে যাত্রীরা। লঞ্চ ও স্পীডবোটে ভীড় বেশি। ফেরিতেও যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ রয়েছে। দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ছেড়ে আসা সকল যানবাহনের সাথে এরুটের নৌযানগুলোর বিরুদ্ধেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ফেরি যাত্রীর সাথে অসদাচরনের অভিযোগে এদিন ইজারাদার পক্ষের ২ স্টাফকেও জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
অন্যদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটেও কর্মস্থলগামী যাত্রীদের চাপ ছিলো দৃশ্যনীয়। যাত্রীদের সহযোগিতায় দৌলতদিয়া ঘাটে কাজ করছে রোভার স্কাউট দল। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। রাজবাড়ী জেলা রোভার স্কাউটের কর্মীরা জানায়, লঞ্চ যাত্রীদের ওঠা-নামা, শিশু-নারী ও বয়ষ্কদের সাহায্য করা, লঞ্চের ভেতরে নির্দিষ্ট স্থানে বসা, লঞ্চের ছাদের ওপর না বসা ও অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে যাতায়াত না করার মতো গুরুত্বপূর্ণ আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে তারা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। তারা প্রতিটি দলে ১০ জন করে সদস্য কাজ করছেন।

এদিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের আওতাধীন বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসির সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে কর্মস্থলমুখো যাত্রীরা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এদিন দক্ষিনাঞ্চল থেকে শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ছেড়ে আসা সকল যানবাহনে ছিল উপচেপড়া ভীড়। দুপুরে বিশেষ করে লঞ্চগুলোতে যাত্রী ঢল নামে। স্পীডবোটেও ছিল যাত্রী ভর্তি। লঞ্চে যাত্রী নিয়ন্ত্রনে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক দফা ব্যারিকেডের সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে খালি ফেরি-লঞ্চ-স্পীডবোট আনা হচ্ছে। লঞ্চগুলোতে ৩৩ টাকার ভাড়া ৩৫ টাকা, স্পীডবোটে ১৩০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। ফেরিগুলোতেও এদিন যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল। অনেক যাত্রীকেই ফেরিতে পারাপার হতে দেখা যায়।

বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, গত ২ দিন ধরেই যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ কাঠালবাড়ি ঘাটে। তাই লঞ্চ ঘাটের উপরে প্রথম দফা ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। পরে লঞ্চে উঠার আগ মুহুর্তে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যারিকেডের মধ্য দিয়ে লঞ্চে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। এত ভীড়ের মধ্যে ধারণক্ষমতা অনুসারে আমরা লঞ্চে যাত্রী পার করতে পারছি না। তবে ঝুঁকিমুক্তভাবে যাত্রী দেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ