পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্র মামলার রায়ে ওই আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির আব্দুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এই রায় দেন।
এ সময় আবদুল কাদের খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক এই রায় দেন। কাদের খান একই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ মাস্টারপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে কয়েকজন দুর্বৃত্তের হাতে গুলিবিদ্ধ হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় তৎকালীন সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ১ জানুয়ারি মনজুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা মামলার তদন্তে সাবেক সাংসদ কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানকে মূল হোতা ও পরিকল্পনাকারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সাংসদ মনজুরুল ইসলাম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে গত ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া শহরের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় কাদের খানকে। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার আদালতে তাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ওইদিন রাতেই কাদের খানকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি খানপাড়ার তার নিজের বাড়ি থেকে একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। অবৈধভাবে অস্ত্র, গোলাবারুদ, ম্যাগজিন রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এদিকে এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রমান দেন। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।