পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পেঁপে পাকলে বেশ সুস্বাদু রসালো ও মিষ্টি হয়। সবজি ও ফল হিসাবে পেঁপে খাওয়া যায়। কাঁচা অবস্থায় সবজি এবং পাকলে ফল। কাঁচা পেঁপে সালাদ করে, তেঁতুল-মরিচ দিয়ে মাখিয়ে কিংবা সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন।
বিভিন্ন রকম অসুখ সারাতে কাঁচা পেঁপে খুবই উপকারি। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা অনায়াসে খেতে পারেন এ ফলটি। কাঁচা পেঁপের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। পেঁপেতে আছে এন্টি- অ্যামোবিক ও এন্টি-প্যারাসিটিক বৈশিষ্ট্য যা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিড রিফ্লাক্স, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অন্ত্রের সমস্যা, পেটের আলসার ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
পেঁপের পুষ্টিগুণ ব্রণ ও ত্বকের যেকোনো ধরনের সংক্রামক থেকে রক্ষা করে। এমনকি এটি ত্বকের ছিদ্র মুখগুলো খুলে দেয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা পেঁপে ত্বকের মরা কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে সাহায্য করে।
পেঁপের পুষ্টিগুণ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ এটি মহিলাদের যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকার ভূমিকা রাখে। পেঁপের পাতা, তেঁতুল ও লবণ একসাথে মিশিয়ে পানি দিয়ে খেলে ব্যথা একেবারে ভালো হয়ে যায়।
এটি ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখার পাশাপাশি রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর সোডিয়ামের পরিমাণকেও কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে পেঁপেতে। যা দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখে। যারা ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তিতে ভুগছেন, তারা নিয়মিত পেঁপে খেলে উপকার পাবেন। পেঁপের মধ্যে থাকে ভিটামিন সি। যা স্কার্ভি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাড়ের জন্য খুবই উপকারি। পেঁপের রস এক টেবিল চামচ, গাজরের রস এক টেবিল চামচ, মধু এক টেবিল চামচ ও আনারসের রস এক টেবিল চামচ মিশিয়ে একটি জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকেও পেঁপে আপনাকে রক্ষা করবে। যারা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, তারা নিয়মিত পেঁপে খেতে পারলে তাদের বুকের দুধের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে। যাদের আঁচিল রয়েছে তারা আঁচিলের উপর পেঁপের কষ লাগাতে পারেন। এভাবে দীর্ঘদিন লাগালে আঁচিল সেরে যাবে। কাঁচা পেঁপে বা পাকা পেঁপে দুটোই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আর পেঁপে খেলে পেট পরিষ্কার হয়ে যায়।
গব থেকে ভালো হয় যদি কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। পেঁপে সিদ্ধ করে, ডালের মধ্যে দিয়ে, তরকারি করেও খেতে পারেন। যকৃতের ক্ষেত্রে পেঁপে ভীষণ উপকারি। আপনি যদি নিয়মিত পেঁপের রস খান তাহলে আপনার লিভারকেও ভালো রাখবে। শুধু পেঁপের রসই নয়, পেঁপের আঠাও খুব ভালো কাজ করে শরীর সুস্থ রাখার জন্য।
কাঁচা পেঁপে কিভাবে খাবেন? কাঁচা পেঁপে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এর মধ্যে গোল মরিচের গুঁড়ো ও লেবু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এটি খেতে পারেন। এভাবে কাঁচা পেঁপে খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হবে। এমন কি জ্বর হলেও কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। আর এটি জ্বর ভালো করতেও সাহায্য করবে। এছাড়াও পেঁপে খেলে দাদ, চুলকানি যেকোনো ধরণের চর্মরোগ, ফুসকুড়ি, ব্রণ ইত্যাদি কমে যাবে। নিয়মিত পেঁপে খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সূত্র : দ্য হেলথ সাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।