পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশী বাঁধায় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা। গতকাল সোমবার সকালে ভিসি’র কার্যালয় ভবনে প্রবেশ করতে গেলে তারা পুলিশী বাঁধার সম্মুখিন হয়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করে। এরপর দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দয়া হয়েছে বলে অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের। তবে এই অভিযোগের সত্যতা নেই বলে মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
এদিকে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল পৌনে ৯টা এবং দুপুর দেড়টায় দুই দফায় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকালের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়াকে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার ডা. এ বি এম আবদুল হান্নানকে সদস্যসচিব করে ১০ সদস্যের নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করছে। আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২৪ দিন এই মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকরী প্রার্থী জানান, সোমবার সকাল ৯টায় পুণ:পরীক্ষা গ্রহণ এবং পুলিশী হামলার বিচারের দাবিতে একটি আবেদন নিয়ে তারা ভিসি’র কার্যলয়ে যেতে চাইলে ভবনে প্রবেশের মুখে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় তারা জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা জড়ো হয়। চাকরী প্রর্থীরা জানান, সোমবার ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতয়েন করা হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রোক্টর আন্দোলনকারী চাকরী প্রার্থীদের বহিরাগত হিসেবে চিহ্নত করে তাদের বের করে দিতে দায়িত্বরত পুলিশদের নির্দেশ দেন। বেলা ৩টার দিকে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়।
এদিকে সোমবার ভিসি ভবনের প্রবেশমুখে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর অসংখ্য সদস্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের এ প্রবেশপথে কোন রোগী বা স্বজনদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এছাড়া দোতলায় ভিসি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ পাহারা দেখা যায়। যদিও রোববার সন্ধা পর্যন্ত চাকরি প্রত্যাশীরা ভিসি’র কার্যালয়ের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তবে ক্যাম্পাসে কাউকে লাঠিচার্যের ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তিনি বলেন, বটতলায় অবস্থানরত চাকরি প্রার্থীদের বের করে দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, রোগী ও রোগীদের স্বজনরা রয়েছেন, সেখানো কোন বহিরাগত যদি স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে তাহলে তাদের সরিয়ে দেয়া হতে পরে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।