Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্বালানি খাতে ভর্তুকির প্রাক্কলন ১০ হাজার কোটি টাকা

বাজেট ২০১৯-২০

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জ্বালানি খাতে ভর্তুকির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। এবারই প্রথম এ খাতে বিশাল পরিমাণ ভর্তুকির অর্থ রাখা হচ্ছে। মূলত বিদেশ থেকে বেশি দামে কিনে দেশে অভ্যন্তরীণ বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হয়। আর এ কারণে পেট্রোবাংলাকে এই ভর্তুকির অর্থ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। তবে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে ভর্তুকির পরিমাণ কমে অসবে বলে সূত্র জানিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো এলএনজি খাতে পেট্রোবাংলাকে এক হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার।

জানায়, গত বছরের অক্টোবরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জন্য পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ পেট্রোবাংলা। কিন্ত চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এ বাবদ কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। গত মার্চ পর্যন্ত তিন হাজার কোটি টাকা আর্থিক ঘাটতিতে ছিল সংস্থাটি। এপ্রিলের যে টাকা পাওয়া গেছে তা বর্তমান ঘাটতির কিছুটা মেটানো সম্ভব হবে। কিন্ত সামনে এলএনজি আমদানি আরো বাড়বে। গ্যাসের দাম না বাড়ানো হলে ভর্তুকি আরো বাড়াতে হবে।

সূত্র জানায়, দেশের গ্যাসের সংকট পূরণ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছে। এক বছর ধরে দেশে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট করে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্ত এতেও সংকটের সুরাহা হচ্ছে না। এ জন্য এলএনজি আমদানি দ্বিগুণ করার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্ত এলএনজি আমদানি করে দেশের গ্যাস সংকটের সুরাহা করা গেলেও অর্থনৈতিকভাবে ভয়াবহ চাপে পড়ছে পেট্রোবাংলা। দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে উত্তোলিত প্রতি ঘনমিটার গ্যাস যেখানে গড়ে সাড়ে ছয় টাকা করে কেনা হয়, সেখানে প্রতি ঘনমিটার এলএনজি আমদানিতে খরচ পড়ছে প্রায় ৪০ টাকা। কিন্ত পেট্রোবাংলাকে দেশের অভ্যন্তরে কম দামে গ্যাস বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমদানিকৃত গ্যাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসে এক বছরে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এলএনজি আমদানি দ্বিগুণ করা হলে ভর্তুকিসহ লোকসান ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। শুধু পেট্রোবাংলা থেকেই নয়, একটি বেসরকারি কোম্পানি থেকেও সরকার এলএনজি কিনতে বাধ্য হচ্ছে।

জানা গেছে, দেশে বর্তমানে প্রায় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পেট্রোবাংলার বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র থেকে ২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। পেট্রোবাংলা এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতির বিপরীতে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করছে।##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ