পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারের জন্য সুসংবাদ দিয়েছেন। নিয়েছেন পুঁজিবাজারবান্ধব উদ্যোগ। আর এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের আগে ও পরে টানা উত্থানে রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। ঈদের আগে টানা ৩ দিন দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। আর ঈদের ছুটির পর গত রোববার এবং গতকাল সোমবার দ্বিতীয় কার্যদিবহ উত্থানে উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। ধুঁকতে থাকা শেয়ারবাজারে ঈদের আগে ও পরে এমন চাঙাভাব ফিরে আসায় কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে বিনিয়োগকারীদের।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আবু আহমেদ জানান, সরকার প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ফান্ড দিয়েছে। ফলে আশার সঞ্চার হয়েছে পুঁজিবাজারে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সম্প্রতি পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সরকারের ওপর আস্থা রাখতে বলেছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পুঁজিবাজারের ইনডেক্স (সূচক) কত হবে, তা আমি বলব না। ইনডেক্স ঠিক করে দেবে অর্থনীতি। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে সরকারের প্রতি আপনারা বিশ্বাস রাখুন। আমরা ঠকব না, এখান থেকে আমরা জিতব। পুজিবাজারের সফলতা আসবেই।’ আর অবশেষে অর্থমন্ত্রীর কথার কিছুটা প্রতিফলন দেখা গেছে। চাঙ্গা হয়েছে পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা সামনে বাজেট। তাই বাজেটেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুসংবাদ থাকছে। তাই দীর্ঘদিন পর আবার আস্থায় ফিরবে পুঁজিবাজার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানো, আইপিও এবং প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধ, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রিতে কড়াকড়ি আরোপে বাজারে চাঙাভাব ফিরে এসেছে। সম্প্রতি যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে সামনে বাজার আরও ভালো হবে।
বিনিয়োগকারী এহেতেশামুজ্জামান বলেন, কয়েক মাস ধরেই শেয়ারবাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে। ঈদের আগে ও পরে কয়েকদিন কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বাজারে।
আব্দুর রহিম নামের আর এক বিনিয়োগকারী বলেন, দীর্ঘদিন বাজার খারাপ। গত কয়েক দিনের উত্থানে লোকসান কিছুটা কমলেও, পুরোপুরি লোকসান কাটেনি। কিছুদিন বাজার এমন ভালো থাকলে লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবো বলে আশা করছি। যদিও বিভিন্ন পক্ষ থেকে শোনা যাচ্ছে বাজেটের পর বাজার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সে আশায়ই রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
সূত্র মতে, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে পুঁজিবাজার গত ৩১ মে থেকে গত ৮ জুন পর্যন্ত টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার ছিল এর প্রথম কার্যদিবস। এ দিন উভয় শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের উত্থান হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবারও ঈদের ছুটির পর দ্বিতীয় কার্যদিবসে উত্থানের মধ্য দিয়ে উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এদিন টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৮৪ কোটি ৮৯ লাখ ২২ হাজার টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৮০ কোটি টাকা বেশি। ওই দিন কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩০৪ কোটি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
আর গতকাল ডিএসইতে ৩৫১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০ শতাংশ বা ২১০টির, কমেছে ২৯ শতাংশ বা ১০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১ শতাংশ বা ৩৯টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৬৩৬ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৪৩ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রণোদনা স্কিমের ৮৬৫ কোটি টাকা আইসিবির মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা হয়তো মনে করছেন তাদের সুবিধা হবে। এজন্য তারা বিনিয়োগ করছেন। এ কারণে বাজারে সূচক বাড়ছে।
তবে মাঝেমধ্যে প্রণোদনা দিয়ে বাজার বেশিক্ষণ স্থিতিশীল রাখা সম্ভব না। এর জন্য দরকার ভালো ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা। একই সঙ্গে বাজারে সুপারভিশন নিশ্চিত করা- আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ কী সেটাও বলেন বিএসইসি’র সাবেক এই চেয়ারম্যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।