পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত লঞ্চ না থাকায় ঈদের ছুটি শেষে কর্মমূখী যাত্রীরা পড়েছেন চরম দূর্ভোগে। একদিকে লঞ্চ সঙ্কট অন্যদিকে ঘাটে তীব্র যানবাহনের যানজট। তীব্র গরমে ঘন্টা পর ঘন্টা লঞ্চ ঘাটের যাত্রীরা ব্রীজে দাড়িয়ে থেকে মিলছে লঞ্চ যাত্রা টিকিট।
এদিকে, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় গতকাল সোমবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে ঢাকাসহ কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বেড়েছে। লঞ্চ ও স্পীডবোটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় বেশি ছিলো। ফেরিতেও যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ ছিলো। ভিড় সামাল দিতে ও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করতে এদিন প্রশাসন ও পুলিশকে অধিক তৎপর দেখা গেছে। লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার বেশি লোডমার্ক মেনে চলেছে। খালি ফেরি-লঞ্চ-স্পীডবোট এনে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার কর্মমূখী মানুষ পারাপারে পর্যাপ্ত লঞ্চ না থাকায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনের যাত্রীরা দৌলতদিয়া থেকে লঞ্চ যোগে নদী পার হয়ে পাটুরিয়া পৌছাতে পারেনি যথা সময়ে। সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা নাগাদ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তের লঞ্চ ঘাটে ৪/৫টি লঞ্চ দেখা যায়। লঞ্চ ঘাটে ছিলো হাজারো কর্মমূখী মানুষের ঢল। ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে নিতে হচ্ছিলো টিকিট। পর্যাপ্ত লঞ্চ না থাকায় টিকিট কাউন্টার ও লঞ্চ ঘাটের প্রবেশ পথে আটকিয়ে রাখা হয় যাত্রীদের। লঞ্চ ঘাটে ভিড়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয় ওই সকল যাত্রীদের।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে যাত্রী সেবায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৩৪টি লঞ্চ সার্বক্ষণিক চলাচল করার কথা থাকলেও সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলছে মাত্র ২২টি লঞ্চ।
এছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৩ কি.মি অদূরে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৩টি সারিতে যাত্রীবাহী পরিবহন, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তীব্র গরমে যাত্রীবাহী পরিবহনের শিশু, বৃদ্ধসহ যাত্রীদের দূর্ভোগের শেষ নেই।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ম্যানেজার মো. নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২২টি লঞ্চ দিয়ে সকাল থেকে বিকাল ৪টা নাগাদ যাত্রী পারাপার করে আসছে। পাটুরিয়ার আরিচা ঘাট থেকে পাবনার কাজীরহাট নৌরুটে ১২টি লঞ্চ চলাচল করছে। বিকাল ৪টা নাগাদ আরিচা-কাজীরহাট নৌরুট থেকে ৭টি লঞ্চ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের লঞ্চ বহরে যোগ হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে বিকাল ৫টা নাগাদ ৭০টি মতো যাত্রীবাহী বাস ও শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলে দুই শতাধিক যানবাহন নদী পারাপারের অপেক্ষায় ছিলো। এ নৌরুটে ১৯টি ফেরী সার্বক্ষণিক চলাচল করছে।
এদিকে সরেজমিনে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এ যেন মানব স্রোত। ঈদ শেষে গত ৪ দিনের ভিড় যেন গতকালের ভিড়ের কাছে মলিন। বেশি ভিড় ছিলো লঞ্চ ঘাটে। সামাল দিতে প্রশাসন, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে লঞ্চ মালিক সমিতিও এদিন আন্তরিক প্রচেষ্টা চালায়। ভিড়ের তোড়ে এক নারী যাত্রী পল্টুন থেকে পানিতে পড়ে গেলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে। স্পীডবোটেও দীর্ঘ লাইন ছিল। ফেরিতেও যানবাহনের চাপ ছিল।
বিআইডব্লিউটিসির কাঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার আ. সালাম বলেন, গতকাল সকাল থেকে প্রচন্ড চাপ ছিলো। বাধ্য হয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে নৌযানগুলো খালি এনে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়েছে।
ঘাটে কর্তব্যরত শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কাজে ফেরা যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ সামাল দিতে লঞ্চ ঘাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। কোন অবস্থাতেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে লঞ্চ পারাপার হতে দেয়া হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।