পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মে দিনকে দিন আবর্জনার শহরে পরিণত হয়েছে লালমনিরহাট পৌরসভা। শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন না থাকা ও যত্রতত্র ময়লা ফেলায় আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পৌরসভা হলেও জনবল কাঠামোসহ নানা সঙ্কটে বিপর্যস্ত শহরের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
শহরের ময়লা অপসারণের জন্য পৌরসভার পানি ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের পাশে একটি গর্তকে ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় দুর্গন্ধে বাতাস দূষিত হচ্ছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে জমে থাকা ময়লা যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুর্গন্ধে আবাসিক এলাকার মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালতগামী মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পৌরসভার বাসিন্দাদের দাবি, ময়লা ফেলার ডাম্পিং গ্রাউন্ড (ময়লা ফেলার ভাগাড়) থাকলেও তা ব্যবহারে অব্যবস্থাপনা রয়েছে। ফলে যত্রতত্র ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আর পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীদের দাবি, তারা নির্দিষ্ট সময়েই ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের মূল স্থানগুলোতে অস্থায়ীভাবে ময়লার স্তুপ পড়ে আছে। পরিচ্ছন্নকর্মীরা মাঝে মধ্যে আবর্জনা ফেলতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গেলেও অধিকাংশ স্থানের ময়লা দিনের পর দিন পড়ে থাকছে। ফলে বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লার স্তপ যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়ছে। অপরদিকে শহরের আলোরূপা সিনেমা হলের পেছনের পুকুর ময়লার স্তপ করে রাখার কারণে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ব্যবসায়ী, পথচারীরা ও শিক্ষার্থীরাও। এসব ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলার কারণে গন্ধ আরও তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ছে শহরজুড়ে। লালমনিরহাট সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে যাতায়তের পথে ডাস্টবিন তৈরী করায় র্দুগন্ধে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষাথীদের।
লালমনিরহাট পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুরো শহরের জন্য ঝাড়ুদার ৯৪ জন, ড্রেন ক্লিনার ২৪ জন ও আবর্জনা ফেলার লেবার রয়েছে ২১ জন। এছাড়া আবর্জনাবাহী ট্রলি ৬টি ও ট্রাক রয়েছে ৩টি। যদিও অধিকাংশ গাড়ি নষ্ট। ফলে যানবাহন সঙ্কটে শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে সনাক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. আশিক ইকবাল দায় দিচ্ছেন পৌরভার মেয়রের কাঁধেই। তিনি বলেন, মেয়রের গাফিলাতিতেই পৌরবাসীর এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের গাফিলতি আছে। তবে আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।