পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রত্যেক মানুষের কৃতকর্মের বিচার আল্লাহ করবেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যা সত্য তা-ই বলব। শেষ বিচার আল্লাহই করবেন। কে ভালো মুসলমান, কে ভালো মুসলমান না, কে সঠিক, কে সঠিক না, কে ভালো কাজ করছে, কে করছে না, তার বিচার করার দায়িত্ব আল্লাহ ও রাসুল আমাদের দেননি। কেন মানুষ আল্লাহর ক্ষমতা কেড়ে নেবে? পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, শেষ বিচার তিনি করবেন। সেখানে ইসলামের নামে নিরীহ মানুষ মারলে বেহেশত পাওয়া যাবে, সেটা তো কোথাও লেখা নেই। আল্লাহ কি কাউকে মানুষ মারার ক্ষমতা দিয়েছেন? গতকাল গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রমজানে দেশে জঙ্গি হামলার হুমকি ছিল। ওআইসি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের পাঠানোর ব্যাপারে একমত। কিন্তু মিয়ানমার তাদের নিচ্ছে না। কিছু এনজিও চায় না রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাক। তিনি আরো বলেন, আজ হোক কাল হোক তারেককে শাস্তি ভোগ করতেই হবে। দারিদ্র্যতাই আমাদের শত্রু। কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে আমরা চলব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান, সউদী আরব ও ফিনল্যান্ড সফর করেন। ১১ দিনের সফর শেষে ৮ জুন শনিবার তিনি দেশে ফেরেন। তিন দেশ সফর এবং ওআইসি সম্মেলন নিয়েই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ‘মানুষ খুন করার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় ধারণা করা হতো কওমি মাদরাসার ছাত্ররা জঙ্গি হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্রদেরও হঠাৎ মনে হলো বেহেশতে যেতে হবে; মানুষ খুন করতে হবে। কোথায় লেখা আছে মানুষ খুন করলে বেহেশতে পাঠানো হবে? কেউ কি মানুষ খুন করে বেহেশতে পৌঁছে মেসেজ দিয়েছে? তিনি বলেন, ওআইসি সম্মেলনে আমার লিখিত বক্তব্যে অনেক কিছু ছিল না। আমি লিখিত বক্তব্যের বাইরেও অনেক কথা বলেছি। আমি বলেছি, ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যদি কোন দ্ব›দ্ব থাকে, কেন আমরা আলোচনা করে তার সমাধান করতে পারছি না? ওআইসির এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগ নেয়া দরকার। আমাদের সমস্যাগুলো যদি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি, তাহলে আত্মঘাতী সংঘাত আর রক্তপাত হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশেও মানুষ খুন করে খুনিরা বলে, এই তো আমরা বেহেশতের কাছে পৌঁছালাম। মানুষ মেরে বেহেশতে কে পৌঁছাতে পেরেছে? যারা মানুষ খুন করেছে, তারা একজনও কী বেহেশতে পৌঁছাতে পেরেছে? এখন সোস্যাল মিডিয়ায় তো বহু মেসেজ দেয়, কেউ কি পাঠিয়েছে যে, আমি মানুষ খুন করে এখন বেহেশতে বসে আঙুর ফল খাচ্ছি? দেখা যাচ্ছে, মুসলমানই মুসলমানদের হত্যা করছে। মুসলিম কান্ট্রির মধ্যেই খুনোখুনি হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আত্মঘাতী যেন হচ্ছি! লাভবান কে হচ্ছে? যারা অস্ত্র বানাচ্ছে, তারা। যারা অস্ত্র দিচ্ছে, তারা। ওআইসিকে বলেছি, মুসলমান মুসলমানের রক্ত নিচ্ছে। এটা ওআইসিকে বন্ধ করতে হবে। আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে আমার বাবাও মাথানত করেননি, আমিও করব না। যা সত্য তা-ই বলে যাবো।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে চায় না
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের নেতিবাচক মনোভাবের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে চায় যে এরা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত যাক। মিয়ানমার এদের নিতে চায় না। এনজিওরাও চায়না রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাক। এখানেই সমস্যা। আপনারা দেখেছেন আমরা চুক্তি করেছি। সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তারপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগও আছে। কিন্তু ওইভাবে তাদের সঙ্গে সাড়া পাই না। মিয়ানমারই আগ্রহী নয়। রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার বিষয়ে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি। ওখানে (কক্সবাজার) ভাগ করা আছে। আমাদের বর্ডার ফোর্স একটা অঞ্চল দেখে, আমাদের পুলিশ দেখে এবং আমাদের সেনাবাহিনী। আমরা বলেছি ওটাকে ক্লাস্টার করে করে চারদিকে একটা সিকিউরিটি বেরিকেড দিয়ে দিতে। সব সময় টহলে রাখতে।
শিঘ্রই চীন সফর
শেখ হাসিনা বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী জুলাইয়ে চীনে যেতে পারি। আশা করি তখন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। সবাই চায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাক। কিন্তু মিয়ানমারের সাড়াটা পাই না। তারাই আগ্রহী নয়।
সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ আমরা এটাই মেনে চলি। তিনি বলেন, এ কারণে পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক স্থাপনের একটাই উদ্দেশ্য, দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন। তিনি বলেন, আমি সবসময় সব ফোরামে একটা কথা বলার চেষ্টা করি, আমাদের সবার একটা কমন এনিমি (অভিন্ন শত্রু) আছে। সেটা হলো দারিদ্র্য। তাই সবার প্রতি আহ্বান জানাই, আসুন, আমরা সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করি। সাধারণ মানুষকে একটা সুন্দর জীবন দিই। তবে আমাদের বড় দুশমন হলো দারিদ্র্য। এই দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।
তারেকের শাস্তি কার্যকর হবেই
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরিয়ে আনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ হোক কাল হোক, তার শাস্তি কার্যকর হবেই। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। একটা কথা আমি বলি, আমাদের অনেকেরই খুব দরদ উথলে ওঠে। কিন্তু আপনারা ভুলে যান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা। কীভাবে আমরা বেঁচে গেছি! বাঁচারই তো কথা না, আইভি রহমান মারা গেলো। ক্ষমতায় থাকতে তারা এতগুলো মানুষের জীবন নিলো। এভাবে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে, বাইরে থাকতে বারবার হামলা চালিয়েছে। আমাদের শত শত, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে। সেই হত্যাকারী, এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারী; এদের জন্য এত মায়া কান্না দেখালে এদেশের অপরাধীদের বিচার হবে কীভাবে, আমার প্রশ্ন। আমরা আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি ব্রিটিশ গর্ভমেন্টের সঙ্গে। তিনি বলেন, তারা এত বেশি টাকা-পয়সা বানিয়ে ফেলেছে, সেখানে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। যা-ই হোক, আজ হোক কাল হোক, একটা সময় শাস্তি কার্যকর হবে। সেটুকু বলতে পারি।
তিস্তা নিয়ে চিন্তা নেই
সরকার ডেল্টা প্ল্যান (শত বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা) নিয়েছে এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কারও কাছে পানির জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য তিনি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে বারণ করেছেন। নদীগুলো ড্রেজিং (খনন) করে দিচ্ছি। কারও কাছে পানির জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। হিমালয় থেকে যে নদীগুলো আসছে, বাংলাদেশের উপর দিয়ে যেতেই হবে।
ঈদে জঙ্গি হুমকি ছিল
এবার ঈদ জামাতের সময় জঙ্গি হামলার হুমকি ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিক চেষ্টায় কোনো অঘটন ছাড়াই সব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবার ঈদের আগেও হুমকি ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদের জামাতের সময় আমি সত্যিই খুব চিন্তিত ছিলাম। কারণ এমন এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তা যেন কোনোমতে না ঘটে।
বিমানে কাউকে ছাড় নয়
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত ভিআইপি-ই হোক, যত ভি-ই লাগুক, বিমানের ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। একটা বিষয় লক্ষণীয়, যখনই বিমানে উঠি তখনই একটা ঘটনা ঘটে। পাসপোর্ট ছাড়া পাইলটের ইমিগ্রেশন পার হবার বিষয়ে তিনি বলেন, ইমিগ্রেশনে খুব কড়াকড়ি করতে বলেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য যখনই আমি যেতে যাই, তখনই একটা ঘটনা। আমার কাছে শত শত মেইল যাচ্ছে। আপনি আইসেন না, বিমান আসবে না। আমি বললাম, বিমান আসবে না মানে? বলে, এটা হয়েছে। আমি বললাম, যা-ই হয় হোক। মরলে নিজের প্লেনেই তো মরব। নিজের প্লেনে মরলে মনে করব, নিজের মাটিতেই মরলাম। আমি আমার বিমানেই যাব। আমি অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে যাব না। তিনি এসময় বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটাকে আন্তর্জাতিক রুটের সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ চলছে।
কল্যাণ বাজেট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশাল সোশ্যাল সেফটিনেট নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আসন্ন বাজেটেও এ বিষয়ে গুরুত্ব থাকবে। একজন মানুষও যাতে না খেয়ে মরে এবং সে যেন কর্মবিমুখ না হয়, এ কারণে ভাতার পরিমাণ এমন হবে যাতে সে ভাতার ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে। তাকে কিছু না কিছু কাজ করতে হবে। কাজেই কর্মবিমুখ যেন না হয় সেটাকে মাথায় রেখে ভাতা নির্ধারণ করা হয়।
এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুই (নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ) দেশের আকার, জনসংখ্যা ইত্যাদির তুলনা করতে হবে। বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ, অথচ মানুষ ১৬ কোটি। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের মতো প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ দেশে যদি ১৬ কোটি মানুষ বসিয়ে দেওয়া হয়, তারা কতটুকু কী করতে পারবে? এই প্রশ্নটা কেউ করে না, কিন্তু করা উচিত। আর তুলনা করলে সেটাও করা উচিত।
অসুস্থ শরীরে সংবাদ সম্মেলনে
অসুস্থ শরীর নিয়েই পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যখন লিখিত বক্তব্য পড়ছিলেন তাকে বেশ কয়েকবার নাক টানতেও দেখা গেছে। তিনি বলেন, এবার প্রথমবারের মতো দেশে থাকতে পারিনি। এই সময়ে কিছুটা নাতি-নাতনিদের সঙ্গে কাটাতে পেরেছি। আমি একটু আপনাদের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। আমার সবটা পড়ার দরকার নেই, আপনারা পড়ে নিয়েন। ওমরা করার পর থেকে গলায় ঠান্ডা লেগে গেছে। যেটা হয়, অনজাইটিস হয়ে গলা ব্যথা করে। ডাক্তার বলে, কথা বলো না। যেটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় শাস্তি। তিনি বলেন, আমি জাস্ট কিছু জিনিস পড়ে যাচ্ছি। বাকিটা আপনারা কষ্ট করে পড়ে নিলে আমি খুশি হবো। পঠিত বলে গণ্য করা হবে।
শুরুতেই সফরের বিষয় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন বলেন, সউদী আরবে অনুষ্ঠিত ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনে এশিয়ার পক্ষ থেকে আমি বক্তব্য দিয়েছি। সম্মেলনে জঙ্গিবাদ, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। ভালোভাবে তুলে ধরি এসব বিষয়। মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে কথা হয়। সউদীর পর ফিনল্যান্ড সফরের বিষয়টি তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটি শান্তিপূর্ণ দেশ। আইসিটিতে তারা খুবই এক্সপার্ট। এখাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ত্রিদেশীয় সফরের শুরুতে গত ২৮ মে জাপানের রাজধানী টোকিও যান। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে ২৫০ কোটি ডলারের অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাপান থেকে ৩১ মে তিনি সউদী আরব পৌঁছেন। সেখানে বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে পবিত্র মক্কা নগরীতে অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেন। সউদী সফরকালে তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালনসহ মদিনায় হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। সেখান থেকে ত্রিদেশীয় সফরের শেষ পর্যায়ে শেখ হাসিনা ৫ দিনের সরকারি সফরে ৩ জুন ফিনল্যান্ড যান। ফিনল্যান্ডে অবস্থানকালে তিনি ৪ জুন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ৫ জুন তার সম্মানে অল ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি যোগ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।