Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীমুখী মানুষের স্রোত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। ফলে আবার সরব হয়ে উঠেছে ঢাকায় প্রবেশের সবকটি টার্মিনাল। গতকাল রোববার কমলাপুর রেলস্টেশন,সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং বাস টার্মিনালে রাজধানীমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যেন চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা।
এদিকে ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসেই পরিবহন সংকটে ভুগতে হয়েছে অফিসগামী যাত্রীদের। সকালে থেকেই রাজধানীতে রাস্তায় গণ-পরিবহনের সংখ্যা কম ছিল। বাস স্টপেজে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা থাকতে হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে কাদা ও পানিতে ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়।

রোববার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটি শেষে গাবতলী বাস স্টেশনে দূর-দূরান্ত থেকে ফিরছে নগরবাসী। মহাখালী বাস স্টেশনেও একই চিত্র। এখানে ফিরছে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, মুক্তাগাছা, টাঙ্গাইল এলাকার মানুষ। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদের ছুটি শেষ করে ফিরছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।

কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড়। নির্ধারিত সময়ের দু-এক ঘণ্টা পর ট্রেন এলেও মধুর স্মৃতি নিয়ে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চোখে মুখে ছিল স্বস্তি। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাদের অধিকাংশই চাকরিজীবী। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের সুবর্ণ এক্সপ্রেস, দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেস, নোয়াখালীর উপকূল এক্সপ্রেস, সিলেট থেকে উপবন এক্সপ্রেস, রংপুরের রংপুর এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জের মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছাড়াও প্রায় ২০টির বেশি ট্রেন কমলাপুরে পৌঁছেছে।

দিনাজপুর থেকে আসা একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী মোহাম্মদ হানিফ শিকদার বলেন, নির্ধারিত ছুটির পর আর কোনো অতিরিক্ত ছুটি পাইনি। তাই কর্মস্থলে যোগ দিতে চলে আসলাম। তিনি বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো ঈদের ছুটিগুলো কম মনে হলেও তাদের সুখকর স্মৃতিগুলো কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা বাড়াবে।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসে খুলনা পথকে ঢাকায় এসেছেন মো. হাফেজ মোহাম্মদ সেলিম খান বলেন, আমরা চার ভাই একসঙ্গে বাড়ি গিয়েছিলাম। তিনজনই চাকরি করি। এক ভাইয়ের ইসলামপুরে কাপড়ের দোকান। নিজের ব্যবসা বলে সে আরও চার-পাঁচদিন পর আসবে। আমরা অন্যের চাকরি করি তাই আগে চলে আসতে হলো।

একই চিত্র রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে। গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ টার্মিনালগুলোতে ছিল ঢাকায় ফেরাদের ভিড়। গাবতলীতে গাইবান্ধা থেকে আসা এসআর ট্রাভেলসের যাত্রী নুর আলম হোসেন বলেন, যাত্রাটা তেমন খারাপ ছিল না। রাস্তায় তেমন যানজটও ছিল না। তবে কয়েকটি জায়গায় বাস থেমে থেমে চলেছে। যমুনার টোল প্লাজায় সময় একটু বেশি লেগেছে। এ ছাড়া পথে তেমন সমস্যা হয়নি। ঈদের ছুটি শেষে সবাই ঢাকায় ফিরতে শুরু করলেও অনেককেই আবার ছুটি কাটাতে রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে। যারা ঈদে ছুটি পাননি, তারা ঈদের পঞ্চম দিন ছুটি নিয়ে যাচ্ছেন প্রিয়জনের কাছে। কমলাপুর ও গাবতলীতে এমন অনেককেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এদিকে সরকারি অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিও বাড়ছে। তবে রাজপথে যানজটের দেখা মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহ এভাবেই কেটে যাবে। আগামী সপ্তাহে স্বমহিমায় ফিরতে পারে রাজধানী।

পরিবহন সংকটে দুর্ভোগ: ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। রোববারও রাস্তা কিছুটা ফাঁকা দেখা গেলেও প্রথম কর্মদিবসে বৃষ্টির জন্য দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এরসঙ্গে পরিবহন সংকটে ভুগতে হয়েছে অফিসগামী যাত্রীদের। সকালে থেকেই রাজধানীতে রাস্তায় গণ-পরিবহনের সংখ্যা কম ছিল। বাস স্টপেজে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা থাকতে হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে কাদা ও পানিতে ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। মহাখালী, শান্তিনগর মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাস সংকট ছিল। তার ওপর অটোরিকশা বা রাইড শেয়ার পর্যাপ্ত ছিল না। ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে গন্তব্যের জন্য যান-বাহন পাননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ