পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি রেহাই পাবেন না। গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশনে প্রবাসীদের হয়রানি করা হয়- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইমিগ্রেশনে আমরা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেস করি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ট্রাভেল পাস নিয়ে অনেকে ফিরে আসছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের তথ্য দিচ্ছে যে, তারা বিভিন্ন দেশে দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সিরিয়াতে বা বাগদাদে যারা যুদ্ধ করেছে এ ধরনের লোকও আমাদের দেশে চলে আসতে পারেন এমন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম যতটুকু অপরাধ করেছে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তের পর অভিযোগপত্রে তার নাম এসেছে। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। তবে তাকে বিচারের মুখোমুখী হতে হবে। তিনি রেহাই পাবেন না। নুসরাত হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। তিনি ওসি হোন, আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা কিংবা জনপ্রতিনিধি হোন তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, ঈদের ছুটিতে কোথাও চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হয়নি। এমন কোনো খবর আমরা পাইনি। মলম পার্টির দৌরাত্ম্যও চোখে পড়েনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ সজাগ ও তৎপর ছিল।
একজন পাইলটের পাসপোর্ট ছাড়া বিমান নিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। যতটুকু জানি একজনকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। তদন্তেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তবে পাইলটদের পাসপোর্ট ছাড়াও একটি স্বতন্ত্র পাস থাকে। যেটি দেখিয়ে তারা বিমানবন্দর ত্যাগ করতে পারেন। তদন্তের পরই সবকিছু পরিষ্কার হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই পাইলট জানিয়েছেন তিনি ভুলক্রমে পাসপোর্টটা নিয়ে যেতে পারেননি। সে জন্যই এ ঘটনা ঘটেছে। এখানে কার কার দুর্বলতা রয়েছে, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রাথমিকভাবে সবার দৃষ্টি গেছে, ইমিগ্রেশন কিভাবে পার হলো। আমরা জেনেছি, ইমিগ্রেশনে পাইলট সঠিকভাবে স্লিপটি জমা দিয়েছেন। তার ফিঙ্গারপ্রিন্টও নেয়া হয়েছিল সঠিকভাবে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল পাসপোর্টটা সঙ্গে আছে কি না। কিন্তু ইমিগ্রেশনে যে কর্মকর্তা কাজ করছিলেন তারও উচিত ছিল পাসপোর্টটা দেখা। কিন্তু তিনি তা না করে গাফিলতি করেছেন। এ কারণে তাকে প্রথমেই বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্য এক কর্মকর্তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর আগে ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।