পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শনকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব না পাওয়া পর্যন্ত জোর করে কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না।
গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প ২-এর সিআইসি কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী রোহিঙ্গা নেতাদের নিকট থেকে জানতে চান, ক্যাম্পে কী সমস্যা রয়েছে। এর জবাবে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, চিকিৎসা, শিক্ষাব্যবস্থা, রাত্রিকালীন নিরাপত্তা ও এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের সাথে সমন্বয় না করে দায়সারাভাবে কাজ করছে। এসব অভিযোগের কথা মন্ত্রী গভীর মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং ঐ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। রোহিঙ্গাদের অভিযোগ ও দুর্ভোগের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করবেন বলে জানান।
আরাকান সোসাইটি ফর ফিস হিউম্যান রাইটসের সভাপতি মাস্টার মহিবুল্লাহ মন্ত্রীকে বলেন, মিয়ানমার সরকার তাদেরকে রোহিঙ্গা বলে না। আশিয়ান ২ বছরে ৫ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার যে কথা বলছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাফেরার স্বাধীনতা না দিলে এবং জমি, শিক্ষাব্যবস্থা না করলে কখনো রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে না।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নাহিয়ান আদনান তাহিয়ান, ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম পাবেল। এছাড়াও রোহিঙ্গা নেতাদের পক্ষে রহিম, মহিবুল্লাহ, কামাল, ইলিয়াছ, শফিক, হাজী ওলি উল্লাহ, নকিব, সলিম, ছৈয়দ, সাদেক, মহিলা নেত্রীদের মধ্যে সিরাজুন নেসা, রশিদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।