পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়া অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে চড়বেন না, মরলে নিজ দেশের বিমানেই মরবেন’- এমনটি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যত ভিআইপি-ই হোক, যত ভি-ই লাগুক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা বিষয় লক্ষণীয়, যখনই বিমানে উঠি তখনই একটা ঘটনা ঘটে। একটা নিউজ হয়, নিউজটা কেন হয় আমি জানি না। হয়তো পাসপোর্ট ভুলে যেতে পারে। পাসপোর্ট ভোলা কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু এখানে ইমিগ্রেশনে যারা ছিল, তাদের তো এই নজরটা থাকতে হবে। আমার কাছে খবর যাওয়ার সাথে সাথে আমি বলেছি, ইমিডিয়েট ব্যবস্থা নিতে। ইমিগ্রেশনে কারা ছিল? কেন চেক করেনি? কেন দেখে নাই।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু এখন ইমিগ্রেশনে খুব কড়াকড়ি করতে বলেছি। আমাদের তো এখন সবাই ভিআইপি। তারপর আবার ভিভিআইপি। এরপর বোধ হয় আরও ভি লাগবে। যত ভি-ই লাগুক, এরপর আর কাউকে ছাড়া হবে না। প্রত্যেকের একদম পাসপোর্ট সিল মারা আছে কি-না, তারপর তাদের চেকটা ভালোভাবে হচ্ছে কি-না, এমনকি ভিআইপি ও ভিভিআইপি এনক্লেভগুলোতে তাদের লাগেজ ঠিকভাবে চেক করা হচ্ছে কি-না, সবই দেখা হবে।
তিনি বলেন, এতদিন পরিশ্রম করে, প্লেন কিনে বিমানের অবস্থানটা যখন একটা জায়গায় চলে আসছে; যখন আমি চেষ্টা করছি আমরা আরও কয়েকটা নতুন রুটে যাব, মোটামুটি একটা ব্যবস্থা করে ফেলেছি ঠিক তখনই একেকটা কারণ… এ রকম আসে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটার কারণ, আমার যেটা মনে হয়… এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, আপনারা অনেকেই জানেন তারা এটাকে কীভাবে ব্যবহার করেছে। ছিলই তো না। সেগুলো আমরা যেহেতু একটু ভালোভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেকের পছন্দ হবে না, এটা আমি জানি। কারণ আগে যেগুলো খুব সহজে করতে পারত সেগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই সিকিউরিটির ওপরে একবার ব্রিটিশ আমাদের এমবার্গ দিল, একবার অস্ট্রেলিয়া দিল। সেটাও আমরা মিটআপ করেছি।
তিনি বলেন, আইকা ওয়ার্ড সার্টিফিকেটে আমাদের সিকিউরিটি লেভেল প্রায় ৭০ পারসেন্ট অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিমানটাকে নিয়ে যারা খেলত তাদের একটু আতে ঘা লেগেছে। তাদের একটু ইনকাম কম পড়ে যাচ্ছে বা একটা সমস্যা হচ্ছে। আপনারা ভালোভাবে জানেন, এখানে কারা কারা, কীভাবে চাকরি পেয়েছে। সেই রকম বহুজন আছে। আমি বলেছি, সব খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এতগুলো বিমান আমরা কিনে দিলাম, এত সুন্দরভাবে চলছে…।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি যে যেখানে আছেন, নিজের দেশের ক্যারিয়ারে চড়ার জন্য পাগল তারা। অথচ সেখানে এই ধরনের…। টিকিট নিয়ে ঝামেলা ছিল। বলে যে, টিকিট নাই। অথচ সিট খালি। আমার মতো করে আমি ধরলাম। এখন আর সিট খালি থাকে না। যারা এই সিটের ব্যবসা করত তাদেরও তো একটা ক্ষোভ আছে। সেটা আপনাদের বোঝা উচিত, তাদের একটু রাগ, দুঃখ তো আছেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য যখনই আমি যেতে যাই, তখনই একটা ঘটনা। আমার কাছে শত শত মেইল যাচ্ছে। আপনি আইসেন না, বিমান আসবে না। আমি বললাম, বিমান আসবে না মানে? বলে, এটা হয়েছে। আমি বললাম, যা-ই হয় হোক। মরলে নিজের প্লেনেই তো মরব। নিজের প্লেনে মরলে মনে করব, নিজের মাটিতেই মরলাম। আমি আমার বিমানেই যাব। আমি অন্য কোনো এয়ারলাইন্সে যাব না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।