পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমরা জানতে পেরেছি পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট নেননি। তবে তার এমন ভুল করা উচিত হয়নি যেহেতু এটি প্রধানমন্ত্রীর বিমান। ইমিগ্রেশন পুলিশেরও উচিত ছিল পাসপোর্টটি দেখা। তার গাফিলতির কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে র্যাব সদর দফতরে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অন্যদিকে পাসপোর্ট ছাড়াই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটের বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার ঘটনায় দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাসপোর্ট না দেখেই পাইলট ফজল মাহমুদকে কাতারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ঘটনায় তাকে গতকাল শনিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পাইলট ভুল করেই এটা করেছেন। বিমানবন্দরে দুই-তিন জায়গায় চেক হয়। তারপরও উনি চলে গেছেন। আমাদের ইমিগ্রেশনে তিনি ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ জেনারেল ডিক্লারেশন দেখেছেন। পাসপোর্ট দেখতে চাইলে সব সময় পাইলটরা বলেন, পকেটে আছে। তারপরও আমাদের ইমিগ্রেশন পুলিশের গাফিলতির কারণে ইতোমধ্যে তাকে সাসপেন্ড করেছেন। এখানে গাফিলতি হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত আরও জানা যাবে।
ঈদের সময় নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে নিরাপত্তা ভালো ছিল, দেশের জনগণ সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপনে করেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের সহযোগিতা ছিল। রাস্তাঘাট ক্লিয়ার ছিল। শুধু সিরাজগঞ্জ বাইপাসে একটু সমস্যা ছিল। তারপরও মানুষ সুন্দরভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন। উল্লেখ্য পাসপোর্ট ছাড়াই কাতারে চলে যান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে যান তিনি।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, পাইলট ফজল মাহমুদের কাছে আমাদের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা পাসপোর্ট চেয়েছিলেন। এর জবাবে পাইলট বলেছিলেন, পাসপোর্ট তার ব্যাগে। যেহেতু পাইলট সবসময় যাওয়া-আসা করেন, তিনি সিনিয়র পাইলট, তাই তার কথায় ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশ্বাস করেছিল।
তিনি আরও বলেন, বিমানের জেনারেল ডিক্লারেশন (জিডি) দেখেই ইমিগ্রেশন করা হয়। এ সময় পাসপোর্ট প্রুভ হিসেবে দেখা হয়। এখানে দু’জনেরই সমান দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা এসআই কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সদর দফতরে রিপোর্ট দিয়েছি।
এর আগে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে আনতে বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়া কেন এবং কীভাবে কাতার গেলেন সেটা নিয়ে একটি চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।