পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেবল মেয়েদের ক্ষেত্রেই নয়, বিশ্বজুড়ে তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাল্যবিবাহ করেছে ছেলেরাও। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে কন্যাশিশুদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিবাহিত জীবন যাপন করছে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি ছেলেশিশুও। এদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে একজনের বিবাহ হয়েছে ১৫ বছর বয়সে পা দেয়ার আগেই। সারা বিশ্বে ছেলেশিশুদের বাল্যবিবাহ পরিস্থিতি নিয়ে ইউনিসেফ পরিচালিত প্রথম গবেষণা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রথমবারের মতো ছেলে শিশুদের বাল্যবিবাহ নিয়ে করা প্রতিবেদনটি তৈরিতে সংস্থাটি ৮২টি দেশের মানুষের বৈবাহিক অবস্থা ও জনসংখ্যাগত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে। তাতে দেখা গেছে, শিশু অবস্থায় বিয়ে করা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ছেলের উপস্থিতি রয়েছে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে। সেখানে এই হার ২৮ শতাংশ। এরপর যথাক্রমে নিকারাগুয়ায় ১৯ শতাংশ ও মাদাগাস্কারে ১৩ শতাংশ ছেলেশিশুর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বাল্যবিবাহের শিকার ছেলে শিশুদের মধ্যে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে করাদের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি।
ইউনিসেফ বলছে, যারা পরিণত বয়সে বিয়ে করে, তাদের সাপেক্ষে বিচার করলে বাল্যবিবাহের শিকার হওয়া ছেলেশিশুদের মধ্যে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার প্রবণতা বেশি, অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা কম, নির্যাতন ও মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
শুক্রবার প্রতাশিত গবেষণা প্রতিবেদনটিতে জাতিসংঘ শিশু সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বাল্যবিবাহ শৈশব কেড়ে নেয়। শিশু অবস্থাতেই পূর্ণবয়স্ক মানুষের মতো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে বাধ্য হতে হয়; অথচ এ ব্যাপারে তারা সবসময় তৈরি থাকে না।’ বিবৃতিতে বলা হয়, বাল্যবিবাহ একটি ছেলেশিশুকে আগাম পিতৃত্বের দিকে ঠেলে দেয়; এটি পরিবারের দায়দায়িত্ব বহনে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে; শিক্ষা ও চাকরি লাভের সুযোগ সীমিত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।