পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীরা। নানা ভোগান্তি ছাপিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি গেলেও প্রিয়জনদের ছেড়ে কর্মস্থলে ফিরতে যেন মন চায় না। তবুও কাজের খাতিরে আসতে হচ্ছে।
ঈদ শেষে গতকাল শনিবার কর্মস্থলে ও বাসাবাড়িতে ফেরার জন্য শহরমুখী মানুষদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডগুলোতে। এ সময় ঈদযাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ থেকে আসা আল-আমিন বলেন, অনেক কষ্ট করে কুমিল্লার ক্যন্টারমেন্ট বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকার একটি বাসে উঠতে হয়েছে। বাসে উঠে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ঢাকা ফিরতে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। কয়েকটা দিন অনেক ভালো কেটেছে। গ্রামে খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরা অনেক শান্তি। যার জন্য আসতেই মন চাচ্ছিল না অশান্তির এই শহরে।
কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে আসা যাত্রী কামরুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি চাকরি করেন। স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জন মিলে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে এসেছিলেন। গতকাল তিনি চলে এসেছেন, এক সপ্তাহ পর স্ত্রী-সন্তানরা ঢাকায় যাবেন। স্ত্রী-সন্তানরাও বেশ খুশি।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, বাসের প্রতিটি ট্রিপে আসন পূর্ণ হয়ে যাত্রী আসছেন। সিট না পেয়ে অনেকেই ভেতরে দাঁড়িয়ে ঢাকায় আসছেন। বেশিরভাগ বাস অনেকটা ফাঁকা অবস্থায় ফিরতি যাত্রী বহনের জন্য বিভিন্ন গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। এতে করে দ্বিগুণ হারে ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের থেকে। এমন অভিযোগ শুধুমাত্র বাসের ক্ষেত্রে।
বাস মালিকরা বলছেন, খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে ফিরতে হচ্ছে। তাই আসা যাওয়ার ভাড়া নিতে হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের পুরোটাই যাত্রীদের চাপ থাকবে। এরপর থেকে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক হবে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা শিল্পশ্রমিক আক্তার বলেন, লম্বা ছুটি পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বৃদ্ধ মা-বাবার সঙ্গে আনন্দেই ঈদ করেছি।
কুমিল্লার শাসনগাছা বাস টার্মিনালে বাসচালক কালাম বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে। অনেকেই ছুটি নিয়ে গ্রামে অবস্থান করছেন। এছাড়া গার্মেন্টসহ শিল্প-কারখানাগুলো আরও দু’একদিন পরে খুলবে। এ কারণে সপ্তাহজুড়ে যাত্রী চাপ থাকবে। ঢাকামুখী যাত্রী চাপ থাকায় বাসগুলো ফাঁকা অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ^রোড থেকে আসা তমাল বলেন, রোববার অফিসে যোগ দিতে সকালে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করেছেন। আসার পথেও গাড়ির টিকিট সঙ্কট রয়েছে। সাধারণ সময়ের তুলনায় ভাড়াও ৫০-১০০ টাকা বেশি আদায় করছে।
তবে বাসচালক ও মালিকরা বলছেন, সর্বত্রই বোনাসের ব্যাপার আছে এখানে ৫০ টাকা বেশিকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখা উচিত না। এদিকে একইভাবে যাত্রীদের ভিড় ছিল কুমিল্লা রেল স্টেশনে। কুমিল্লার রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেন এসে থামার সঙ্গে সঙ্গে মানুষে ভরে যায় স্টেশন প্ল্যাটফর্ম। দাঁড়িয়ে, ছাদে, সিটে বসে যে যেভাবে পারছে মানুষ ফিরছে। যাত্রীর এই চাপ আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত থাকবে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার।
তিনি বলেন, ট্রেন যথাসময়ে এসে পৌঁছাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোনো শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে সবাই একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার কারণে। এ ছাড়া যাত্রীদেরও তেমন কোনো অভিযোগ নেই। চট্টগ্রাম থেকে আসা আবুল খায়ের বলেন, সময়মতো ট্রেন ছাড়লেও অনেক যাত্রী তাদের নিজেদের সিটে বসতে পারেনি। একজনের সিট অন্যজন দখল করে ফেলেছে। ফলে অনেককেই গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।