পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ এটিএম কার্ড ব্যবহার করে জালিয়াতি করতে ৮দিনের ভিসা নিয়ে ইউক্রেনের সাত নাগরিক এসেছিলেন বাংলাদেশে। এর আগেও বিভিন্ন দেশে এটিএম জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। আর বাংলাদেশের পর তাদের টার্গেট ছিল ভারত।গত মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে দুই লাখ টাকাও তুলে ফেলেছিলেন তারা। পরে ওই ব্যাংকেরই আরেক এটিএম বুথ থেকে আরও সাড়ে চার লাখ টাকা তুলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন হাতেনাতে।
ওই কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে এই জালিয়াত চক্রের সদস্যরা জানিয়েছেন, মূলত টাকা লুট করার জন্যই এই চক্রটি বাংলাদেশে এসেছে। তারা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে বিশেষ ধরনের কার্ড ব্যবহার করত। এটিএম বুথে প্রবেশের পর ইউক্রেন থেকে একটি ফোন কল আসত তাদের কাছে। তাদের মোবাইলের সিমগুলো ইউক্রেনের, রোমিং করে সেই সিম ব্যবহার করা হতো। তারা সেই ফোনের নির্দেশনা অনুযায়ী মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাত। এরপরই মেশিন থেকে টাকা বেরিয়ে আসত।
ডিবি কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, এই চক্রটি এর আগেও কয়েকটি দেশের এটিএম বুথে ঢুকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। মূলত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সব ব্যাংকের এটিএম বুথে আমেরিকার একটি কোম্পানির সফটওয়্যারই ব্যবহার করা হয়। ফলে তাদের কাছে যে ধরনের কার্ড রয়েছে, তা দিয়ে এই এলাকার সব দেশে হ্যাকিং করা সম্ভব। তাদের পরিকল্পনা ছিল, বাংলাদেশ থেকে টাকা তুলে নিয়ে তারা ভারতে যাবে। তাদের ব্যবহৃত কার্ডটি কোনো নিয়মিত ডেবিট বা ক্রেডিট কর্ড নয়, ‘বেস্ট ডিসকাউন্ট’ নামের এটি বিশেষ ধরনের কার্ড। এটিএম মেশিনে এই কার্ড দেওয়ামাত্রই মেশিনটি কেন্দ্রীয় সার্ভার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। ফলে তাদের টাকা তোলার রেকর্ড থাকত না ব্যাংকের কাছে। আবার কোনো গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা কাটা যেত না।
ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, আট দিনের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে গত ৩০ মে হ্যাকার চক্রটি বাংলাদেশে এসে রাজধানীর পান্থপথে হোটেল অলিও ইন্টারন্যাশনালে ওঠে। পরদিন শুক্রবার ৩১ মে বাড্ডায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে দুই লাখ টাকা তুলে নেয় তারা। এর পরদিন তারা খিলগাঁও তালতলা রোডের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে যায়। দু’জনে সেই বুথে প্রবেশ করার পর অনেকক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বের না হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীর সন্দেহ হয়। তিনি আশপাশের লোকজনকে ডেকে জড়ো করে তাদের ধরতে গেলে একজন পালিয়ে যায়। আরেকজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে তার কাছ থেকে তথ্য নিয়েই বাকিদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।