Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সঙ্কেত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বাংলাদেশের সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রামসহ সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে এ সপ্তাহে দেশের অধিকাংশ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টির আবাহন জানান দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুমালা (বর্ষা) আগামী কিছু দিনের মধ্যে টেকনাফ উপকূল হয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ক্রমেই বিস্তার লাভ করতে পারে।

গত ৪ জুন (মঙ্গলবার) দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পাতায় প্রকাশিত সংবাদ। শিরোনাম ছিল- ‘বৃষ্টিভেজা ঈদের সকাল, ঢাকা চট্টগ্রামসহ অনেক জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা’। আবহাওয়া অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক আবহাওয়া নেটওয়ার্কের সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে ইনকিলাব-এর পূর্বাভাসই যথার্থ হয়েছে। গত ৫ জুন (বুধবার) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ভোরবেলা থেকে সকাল পর্যন্ত অর্থাৎ ঈদের নামাজের জামাতের মূল সময়ে রাজধানী ঢাকায়, বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলসহ অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক জেলায় দমকা হাওয়ার সাথে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হয়।

আবার দুপুরের পর, বিকেল থেকে ঈদের দিন রাত পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হয় অবশিষ্ট জেলাগুলোতে। বৃষ্টির বিড়ম্বনা মাথায় রেখে ঈদ জামাতে বাড়তি প্রস্তুতিও ছিল দেশের প্রায় সর্বত্র। দীর্ঘ দুই মাস তাপদাহের পর এ বৃষ্টির শীতল পরশ স্বস্তি বয়ে আনে। ঈদের দিনে ঢাকায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া চট্টগ্রামে ১২, টাঙ্গাইলে ৪৮, গোপালগঞ্জে ৬২, নেত্রকোনায় ৪, রাঙ্গামাটিতে ৫, নোয়াখালীতে ৯, কক্সবাজারে ৭, সিলেটে ১৫, রাজশাহীতে ১৪, খুলনায় ৩২, যশোরে ৪৪, কুমারখালীতে ৫৯, সাতক্ষীরায় ৪৭, বরিশালে ১, খেপুপাড়ায় ১৪৪, পটুয়াখালীতে ৪৩ মিলিমিটারসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় রংপুর বিভাগে বৃষ্টি ঝরেনি। ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার কমে আসে বর্ষণের মাত্রা।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় সর্বোচ্চ বর্ষণ খেপুপাড়ায় ৬৪ মিলিমিটার। ঢাকায় ১, টাঙ্গাইলে ১৭, চাঁদপুরে ২, কক্সবাজারে ২৭, সিলেটে ৫১, বরিশালে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে জ্যৈষ্ঠের তাপমাত্রা এখনও সহনীয় রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রি এবং যশোরে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২.৮ এবং সর্বনি¤œ ২৫.৬ ডিগ্রি সে.।
আজ (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে, খুলনা, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। এর পরের ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের হার কমে আসতে পারে।
নি¤œচাপ পরিস্থিতি
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে গভীর সঞ্চারনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ