পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বেড়ে যাওয়া এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় প্রতিবন্ধকতা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়। এ ছাড়া গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।
৫ জুন গত বুধবার প্রকাশিত ‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিবেদন ২০১৮’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০১৮ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রের সুরক্ষা দুর্বল হয়েছে। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ ও সহিংসতার বিষয়টি নজরে এসেছে ব্রিটিশ সরকারের। এসব অভিযোগকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ বলে মনে করেন তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটেন এ বিষয়ে স্পষ্ট ও অনড় যে, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপ‚র্ণ নির্বাচন দেখতে চাই । যা একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট এই বার্তা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পোঁছে দেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বেড়েছে। সীমিত হয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন জানান, আমাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সুরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে চাপে রাখার অভিযোগগুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকান্ড ও গুমের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ সময় বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকান্ড ও জোরপ‚র্বক ‘গুম’-এর ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘দায়মুক্তি’ পাওয়ার অভিযোগ সমর্থন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের অক্টোবরে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পর বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি নজরে রেখেছে ্িরটিশ সরকার। ২০১৮ সালে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার-এর বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১৪৬তম। ২০১৭ সালেও একই অবস্থানে ছিলো বাংলাদেশ। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে ৫৪ জন সাংবাদিককে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। আগের চেয়ে কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরের অবস্থার উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।