Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ঈদযাত্রায় ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

এবার ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হবে না এমনটা আশা করেছিলেন ঘরমুখো মানুষেরা। সড়কপথে স্বস্তি শুরুতে সে আশা জাগিয়ে রাখলেও শেষ পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভয়াবহ যানজট সব ¤øান করে দিয়েছে। আর ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় উত্তরের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ঈদ যাত্রার শুরু থেকেই কয়েকটি রুটে চরম সিডিউল বিপর্যয়ে ছিল ট্রেন। যা থেকে পরিত্রাণ মেলেনি ঈদের আগের দিনেও। এতে করে কমপক্ষে চারদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। বিপর্যস্ত ট্রেনের এ কারণে শত শত যাত্রী কমলাপুর প্লাটফরমে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন ট্রেনের জন্য। সবমিলিয়ে যাত্রী ভোগান্তি অতীতের রেকর্ডকে হার মানিয়েছে।
ঈদের আগের দিনেও পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে ধারাবাহিক শিডিউল বিপর্যয়ে পড়া চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস। ওই দিন ট্রেনটি সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও বেলা ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আসেনি।
সিডিউল অনুযায়ী নীলসাগর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ওই দিন সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রেনটি ওই দিন বেলা ১টার পর ছাড়ে। এতে করে সকাল সাতটায় আসা যাত্রীরা কমলাপুর স্টেশনে প্রায় ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করে কাটান। ঈদের কারণে কমলাপুর স্টেশনে সেদিন বসার মতো জায়গাও ছিল না। জানতে চাইলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, সাপ্তাহিক ছুটি বন্ধ থাকায় ঈদের আগে কোনো ট্রেনেরই আর সিডিউলে পেরানো সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও ওই দিন দুই ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে বেলা ১১টায় ৪০ মিনিটে কমলাপুর পৌঁছায়। পরে ট্রেনটি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ছেড়ে গেলেও যাত্রাপথে আরও বিলম্ব হয়। রেলওয়ে সূত্র সেদিন দাবি করে, উত্তরের ট্রেনে বিপর্যয় হলেও ঈদের আগের দিন ভোর থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, সিলেটগামী ট্রেন সময়মতো কমলাপুর ছেড়ে গেছে।
ঈদের আগের দিন চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, গত মাসে আমার ছোট ভাই ১২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে তিনটি টিকিট পেয়েছে। আমি, সে এবং মা আজ বাড়ি যাব। শিডিউল অনুযায়ী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা। এখন ১২টার বেশি বাজে। এখনও ট্রেনের কোনো খবর নেই। সকাল ৬টা থেকে কমলাপুর স্টেশনে এসে আমরা বসে আছি। নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস ছাড়াও রাজশাহীগামী ধুমকেতু এবং লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ঈদের আগে সিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, নানা কারণে দুই-চারটি ট্রেন বিলম্ব হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গের ট্রেনে বিপর্যয়ের অন্যরকম তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তর বঙ্গের ট্রেনে বিপর্যয়ের কারণ যাত্রী বেশি, বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন থামার পর যাত্রীদের ওঠা-নামার কারণে এই বিপত্তি হয়েছে।
তিনি জানান, ঈদের সময় সারাদিনে ৫০ হাজারেরও বেশি যাত্রী বিভিন্ন ট্রেনে বাড়ি ফেরে। এসব যাত্রী নিয়ে চলতে গিয়ে ট্রেনগুলো গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছাতে এমনিতেই গিয়ে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পিছিয়ে পড়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ