পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাবিব হোসেন তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুর থেকে লোকাল একটি পরিবহনে রওনা দেন কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে। তবে দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বর এলাকায় শুরু হয় তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা। পরে সড়কের ওপরই তার স্ত্রী কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
বর্তমানে মা ও মেয়ে দুইজনই সুস্থ রয়েছেন। পরে ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই নার্স সেতু এলাকায় এসে শিশু সন্তানসহ মাকে চিকিৎসা দেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হাবিব হোসেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৩ নং ভোগদাঙ্গা ইউনিয়নের পোরার ভিটা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। হাবিব মহাসড়কে জন্ম নেয়া তার মেয়ের নাম রেখেছেন স্মরণী।
জানা গেছে, হাবিব হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে বসবাস করেন। তিনি গাজীপুর শহরে কখনও রিকশা, কখনও শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে স্ত্রীকে নিয়ে কুড়িগ্রামে রওনা দেন লোকাল একটি পরিবহনে। মাঝে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সেতুর গোলচত্বর এলাকায় স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়।
হাবিব হোসেন জানান, গাড়িতে প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে ধরে সড়কের পাশে রাখা হয়। এ সময় গাড়ির একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রী আফরোজা বেগম কন্যা শিশু জন্ম দেন। এরপর ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নার্সসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স আসে। পরে নার্সরা স্ত্রীকে চিকিৎসা সেবা দেন। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুইজনই সুস্থ রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স সাজেদা খাতুন জানান, ঘটনাস্থলে আসার আগেই সড়কের ওপরেই ওই নারীর সন্তান প্রসব হয়েছে। এরপর মা-মেয়েকে চেকআপসহ চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।