Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

যানজটে যাত্রীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঈদের আগের দিন ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এলাকা থেকে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে দুরপাল্লার হাজার হাজার যাত্রী। অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে বঙ্গবন্ধুসেতুর টোলপ্লাজা বন্ধ রাখায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের দায়িত্বে রয়েছে সেই সিএনএস। যাদের কারণে এবার রেলের অগ্রিম টিকিট নিয়েও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এমনকি এজন্য রেলমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ওই দিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার পর কোথাও যানজটের কবলে পড়তে হয়নি। তবে টাঙ্গাইল অংশে এসে যানজটের কবলে পড়তে হয়। এসময় অনেক জায়গায় যানবাহন চলেছে ধীর গতিতে আবার কোথাও ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, মধ্যরাত থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। এতে করে সেতুর সিরাজগঞ্জ অংশে গাড়ি স্বাভাবিকভাবে চলতে না পাড়ায় সেতুতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে সেতুর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। সেতুর নিরাপত্তার স্বার্থে সকালে টাঙ্গাইল অংশে টোল আদায় বন্ধ করে দেয়া হয়। টোল প্লাজা বন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ওইদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিক্রমহাটি এলাকায় যানজটের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে। এসময় বিক্ষুদ্ধরা ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সাধারণ যাত্রীরা ওই দিন জানান, ঢাকাগামী যানবাহন ধীরগতিতে চললেও উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন একেবারেই বন্ধ ছিল। এতে করে নারী ও শিশুসহ তারা চরম দুর্ভোগে পড়ে। মহাসড়কের প্রায় পুরো এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্রমহাটি এলাকায় সাধারণ যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে মহাসড়কের উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী লেনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ ও র‌্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে য্ত্রাীরা তাদের বাসে উঠে যায়।

টাঙ্গাইল পুলিশ কন্ট্রোল রুমের এক কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের যানজট থাকায় টাঙ্গাইল অংশ থেকে গাড়ি ছাড়তে না পাড়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ে টোল আদায় বন্ধ থাকে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন গাড়ির চাপে তাড়াহুড়া করে টোল আদায় করতে গিয়ে কম্পিউটারের সার্ভার বিকল হয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সে কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে কম্পিউটার বাদ দিয়ে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন যাত্রী ও বাসের হেলপাররা জানান, বিকালের পর টোল প্লাজায় শৃঙ্খলা বলে কিছু ছিল না। বিশৃঙ্খলভাবে চলতে গিয়ে টোল ছাড়াও অনেক গাড়ি সেতু পার হয়ে গেছে। বগুড়াগামী হানিফ পরিবহনের এক সুপারভাইজার বলেন, হাতের মুঠোয় করে টাকা দিয়েছে সুপারভাইজাররা। টাকা গোনার সময়ও ছিল না তখন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ