Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দুর্ঘটনার কবলে এমভি বাঙালী

ঝুঁকির মুখে দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপদ নৌ যোগাযোগ

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঈদের ভীড়ে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশাল আসার পথে বিআইডবিøউটিসি’র নৌযান ‘এমভি বাঙালী’ সোমবার শেষরাতে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে।
মঙ্গলবার শেষ রাতে বরিশাল বন্দরের প্রায় ২৫ কিলোমিটার উজানে মিঞারচরের কাছে নৌযানটি মূল চ্যানেলের বাইরে গিয়ে ডুবোচরে ধাক্কা লাগায় স্টারবোর্ড সাইডের(ডান পাশের) ‘রাডার সুকান’ ভেঙে নদীতে পড়ে যাবার পাশাপাশি প্রপেলার বাঁকা হয়ে গেছে। তবে ঐ অবস্থায়ই মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে নৌযানটি চালিয়ে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা পড়ে ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে বরিশালে পৌছে যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ঝালকাঠী হয়ে পিরোজপুরের হুলারহাট হয়ে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বড়মাছুয়া ঘাটে পৌছে। সেখান থেকে রাত ৮টায় ঢাকার দিকে পুনরায় ফিরতি ট্রিপে রওয়ানা হয়ে ‘এমভি বাঙালী’ ঢাকার উদ্যেশ্যে যাত্রা করে। স্টারবোর্ড সাইডের রাডার সুকান না থাকার পাশাপাশি বাঁকা প্রপেলার নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ধীর গতিতে চালিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৌযানটি ঢাকায় পৌছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিয়মিত ট্রিপে ‘এমভি বাঙালী’ ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের সিডিউল থাকলেও তা বাতিল করা হয়। ঝড়ঝঞ্ঝার মৌশুমে একটি রাডার সুকানবিহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রপেলার নিয়ে যাত্রীবাহী নৌযান পরিচালন যুক্তিযূক্ত না হওয়ায় ঝুঁকি নেয়নি নৌযানটির কাপ্তেন। ঈদের আগে পরে নৌযানটিতে যাত্রী পরিবহন যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপদ নৌ যোগাযোগ যথেষ্ঠ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। তবে সাময়িকভাবে নৌযানটির প্রপেলার মেরামত করে একটি রাডার সুকানেই বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে মোড়েলগঞ্জের উদ্যেশ্যে রওয়ানা হয়। এমভি বাঙালী শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় নিয়মিত ট্রিপে মোড়েলগঞ্জ থেকে ছেড়ে বরিশাল হয়ে ঢাকায় যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হয়। সন্ধ্যায় নৌযানটি বরিশাল হয়ে ঢাকার উদ্যেশ্যে যাত্রা করলেও অশান্ত মেঘনার প্রবল স্রোত অতিক্রম করে নির্বিঘ্ন চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল।
২০১৪ সালে প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এমভি বাঙালী সংগ্রহ করার পর দূর্বল পরিচালন ব্যবস্থার কারনে ইতোপূর্বেও এ ধরনের একাধিক দূর্ঘটনা ঘটেছে। আরো একাধিকবার রাডার সুকান ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। অথচ প্রতিটি দূর্ঘটনার সময়ই নৌযানটির হুইল হাউজে দক্ষ মাষ্টার ও হুইল সুকানী ছিলেন। নৌযানটিতে দিক নির্দেশনাকারি পাইলটও থাকছে। উপরন্তু নৌযানটিতে জিপিআরএস ছাড়াও মনিটরসহ রাডারও রয়েছে। যার মাধ্যমে নৌযানটির অবস্থান ছাড়াও নদ-নদীর গভীরতাও প্রত্যক্ষ করা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ