Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চান রাতের অপেক্ষা

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চাঁন (চাঁদ) রাতের অপেক্ষায় চট্টগ্রামবাসী। ঐতিহ্য অনুযায়ী পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ উঠার সাথে সাথে মার্কেটমুখী হবেন নগরবাসী। সারবেন ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ব্যবসায়ীরাও চাঁন রাতের জমজমাট বেচাকেনার অপেক্ষায়। ইতোমধ্যে মার্কেট বিপণি কেন্দ্রে জমজমাট বেচাকেনা শুরু হলেও চাঁন রাতে দারুণ ব্যবসা হবে এমন প্রত্যাশা তাদের। এ রাতে ব্যবসায়ীরাও সারবেন নিজেদের কেনাকাটা।

নগরীর যারা আদি বাসিন্দা তারা নগরীতেই ঈদ করবেন। এদের বেশিরভাগই ঈদের কেনাকাটা সারেন ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁন রাতে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের যারা এ নগরীতে বসবাস করেন তারাও প্রতিবছর এ রাতের অপেক্ষায় থাকেন। ঈদের আগের রাতে কেনাকাটা সেরে গভীর রাত কিংবা ঈদের দিন সকালে তারা বাড়ি যান। নগরীর মার্কেট, বিপণি কেন্দ্র ও শপিং মলগুলোতে রয়েছেন কয়েক লাখ ব্যবসায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারাও শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করবেন। সব মিলিয়ে চাঁন রাতে জমজমাট হবে ঈদ বাজার।

মার্কেট, বিপণি কেন্দ্রের পাশাপাশি ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সেমাই, চিনিসহ ঈদে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের কেনাবেচা। কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। একই দৃশ্য সেমাই, মসলাসহ ভোগ্যপণ্যের দোকানেও। মানুষের ভিড় আতর, টুপি, জায়নামাজ, তসবির দোকানে। মহিলাদের ভিড় প্রসাধনী আর মেহেদীর দোকানে। মার্কেট, বিপণি কেন্দ্রের পাশাপাশি নগরীর ফুটপাত আর অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে এসব জিনিস। ঈদের আগ মুহূর্তে এসে দর কষাকষির বদলে বিনাবাক্য ব্যয়ে নিজের পছন্দের জিনিসটি কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে সন্তুষ্ট। চাঁন রাতে সেলুন খোলা থাকে সারা রাত। কেনাকাটা সেরে চুল কেটে পরিপাটি হয়ে ভোর রাতে বাড়ি ফেরেন অনেকে। গোসল করে ফজরের নামাজ শেষে ছুটে যান ঈদগাহে।

চাঁন রাতকে ঘিরে নগরীর মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে নগরী প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। এ নগরীতে যারা ঈদ করবেন তারা আজ শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত হবেন। মার্কেটগুলোতে ভিড় বাড়বে আর এ সুযোগে যাতে কোন ধরনের ছিনতাই, দস্যুতার ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মার্কেটে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ। আর চাঁদ দেখা গেলেই বন্দরনগরীর মার্কেট, বিপণি কেন্দ্রগুলো অন্যরকম ব্যস্ত হয়ে উঠবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ