পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দরিদ্র অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরিদ্র অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দের এ চাল আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আর ভিজিএফ কার্ডধারী ব্যক্তিদের মাঝে মাত্র ৭-৮কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এতে ভিজিএফ কার্ডধারীসহ সাধারণ জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতপুরে এবছর জনপ্রতি ১৫কেজি করে ১১হাজার ২৭৭ জনের মাঝে ১৭৯.১৫৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়। সে লক্ষে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজ নিজ ইউনিয়নের চাল উত্তোলন করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যান। চাল বিতরণকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাদের শতকরা ৩০ ভাগ চালের কোটা দাবি করে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানবৃন্দ দলীয় কোটার ৫০ মেট্রিক টন ভিজিএফ’র চাল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বাকি চাল ৭-৮ কেজি করে দরিদ্র অস্বচ্ছল ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে সরবরাহ করেন।
এনিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মধ্যেও চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন, আমরাও আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান। তারপরও ভিজিএফ’র চাল ৩০শতাংশ দলীয় নেতা-কর্মীদের দিয়ে বাঁকী চাল দরিদ্র কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করছি।
এদিকে গতকাল সোমবার ও রোববার সকালে উপজেলা বাজার এলাকা দিয়ে ৪-৫টি ভ্যান ভর্তি হয়ে ভিজিএিফ’র চাল স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে যেতে দেখা গেছে।
স¤প্রতি দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ভিজিএফ চাল বিতরণ সংক্রান্ত সভায় দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি’র প্রতিনিধি সরদার তৌহিদুল ইসলাম ভিজিএফ’র চালের ৩০শতাংশ কোটা দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য বরাদ্দ করে নেন। মোট বরাদ্দ থেকে ৫০দশমিক০৭ মেট্রিক টন চাল দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য অবৈধভাবে জোর করে বরাদ্দ নেওয়ার কারনে ভিজিএফ কার্ডধারীদের প্রাপ্ত বরাদ্দ কমে যায়। যারকারনে তাদের মাঝে ৭ কেজি থেকে ৮ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হয়। রিফায়েতপুর ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামের রমেজান নামে এক বৃদ্ধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে ৭ কেজি চাল দিয়েছে। একই অভিযোগ করে গোয়ালগ্রামের দাউদ হোসেন নামে এক ভিজিএফ কার্ডধারী ব্যক্তির।
ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, আমার কাছে এমন অভিযোগ এসেছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরে রিফায়েতপুর ইউনিয়নে এসিল্যান্ডকে পাঠিয়ে ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে ১৫ কেজি করে চাল বিরণ করা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ দলীয় কোটার ৩০শতাংশ চালের বিষয় সঠিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।