পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষদের ব্যাপক চাপ থাকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ প্রায় প্রতিটি পরিবহনে। বিশেষ করে ছাদসহ গেটে ঝুলেও বহু যাত্রীকে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে চড়তে দেখা যায়।
কিন্তু দূরপাল্লার ট্রেনে এবার তা হচ্ছে না। ট্রেনের ছাদ একেবারে ফাঁকা লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রীদের সচেতনতা আর নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের জন্য এমনটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কমলাপুর স্টেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, শনিবার নীলসাগর এক্সপ্রেসের ছাদ থেকে ৭০ জন যাত্রীকে নামিয়ে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এর পর থেকে আর কেউ ভয়ে ট্রেনের ছাদে উঠছে না। গতকাল রোববার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠতে দেয়া হচ্ছে না। শুধু কমলাপুর নয়, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশনেও যাতে কোনো যাত্রী উঠতে না পারে সেজন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে রেল পুলিশকে। ঈদ উপলক্ষে চলা শুরু করেছে ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো। কিন্তু কোনো ট্রেনের ছাদে ভ্রমণরত যাত্রীদের লক্ষ্য করা যায়নি।
রিপন নামে এক যাত্রী নোয়াখালী থেকে ঢাকায় এসেছেন রংপুরে যাবেন। ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেই। তিনি বলেন, আমার বাড়ি রংপুরে। চাকরি করি নোয়াখালীতে। আমি সবসময় ট্রেনেই যাতায়াত করি। ঈদে ট্রেনে এতো ভিড় হয় যে, সিট না পেয়ে অনেক সময় ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকাটাও অনেক কষ্টকর। তাই ছাদে উঠে যেতাম। কিন্তু এবার তা হবে না। কষ্ট হলেও ট্রেনের ভেতরে বসে বা দাঁড়িয়েই যাবো। কেননা যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখন পুলিশরাও ব্যাপক কড়া। আগে টাকা দিয়ে যেতাম, তা এখন আর হবে না।
এদিকে ট্রেনে যাত্রীরা ছাড়াও পথশিশুদের দেখা যায়, ট্রেনের ছাদে বসে ভ্রমণ করতে। কিন্তু এবার তাদেরও ট্রেনের ছাদে দেখা যায়নি। পথশিশুদেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ট্রেনের ছাদে উঠলেই রেলওয়ে পুলিশ এসে নামিয়ে দেয়। তাই এখন তারাও উঠতে পারে না। কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক বলেন, ট্রেনের ছাদে না উঠার ব্যাপারে কড়াকড়ি নির্দেশনা রয়েছে। আমরাও এক্ষেত্রে তৎপর রয়েছি। শনিবার ছাদে উঠার জন্য আমরা ৩৫ জনকে শাস্তিস্বরুপ জরিমানা করেছি। তবে এখনও কমলাপুরে রেলস্টেশনগুলোতে ঈদ উপলক্ষে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়নি। পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলেই টেনের যাত্রীদের চাপ বাড়বে। তখন ছাদে উঠে ভ্রমণের ব্যাপারে কি পদক্ষেপ রয়েছে? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুসারে এদিকে খেয়াল রাখছি। আবার ঈদে ঘরমুখো মানুষকেও বাড়ি যেতে হবে। সবমিলিয়ে আমরা চেষ্টা করবো ঘরমুখো মানুষ যেন ছাদে ভ্রমণ না করে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।