পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়) মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যেই সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিস্তার লাভ করতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে ১ থেকে ২টি মৌসুমী নিম্নচাপ। এরফলে তৈরি হতে পারে বর্ষাকালীন মেঘ-বৃষ্টিপাতের আবহ। জুন মাসে দেশে স্বাভাবিক হারে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গত মে মাসে (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ) সারাদেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫.২ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে একথা জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় এ পূর্বাভাস দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির আহ্বায়ক সামছুদ্দিন আহমেদ। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, জুন মাসে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল (বৃহত্তর সিলেট ও সংলগ্ন ময়মনসিংহ) এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে (বৃহত্তর চট্টগ্রাম) কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে গত মে মাসে ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৮৭ মিলিমিটার। অথচ মে মাসে ঢাকায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ধরা হয় ২৯২ মিলিমিটার। ঢাকায় গত মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামে ৩৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৯ শতাংশ, খুলনায় ২৮.২ শতাংশ, বরিশালে ৩৯.৩ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়। গত মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হলেও বঙ্গোপসাগরে কোনো নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়নি।
এদিকে জ্যৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় ভাগে এসেও দেশজুড়ে টানা খরতাপে ভ্যাপসা গরম অব্যাহত রয়েছে। এদিকে এ বছরের দীর্ঘতম তাপদাহের পর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বর্ষারোহী দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুমালা বৃহত্তর চট্টগ্রামের উপকূলভাগ পর্যন্ত এগিয়ে আসতে পারে। আজ (শনিবার) থেকে দেশে ধীরে ধীরে মেঘ-বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে দমকা হাওয়াসহ বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যান্য বিভাগে বিক্ষিপ্ত ও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সৈয়দপুরে ৬৫ মিলিমিটার। তাছাড়া দিনাজপুরে ৬১, রংপুরে ৪১, রাজশাহীতে ১২, মংলায় ২৫, যশোরে ২৩, খেপুপাড়ায় ২৯, ফরিদপুরে ৩, শ্রীমঙ্গলে ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা ও যশোরে ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৫.৩ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের কার্যশক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর পরের ৫ দিনে অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।