পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভিভিআইপি পাড়া হিসেবে পরিচিত গুলশান-বনানী-বারিধারা। বিদেশী দূতাবাস এবং বিদেশীদের বসবাস এই এলাকায় সর্বাধিক। এই এলাকার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং সৌন্দর্য্য বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অথচ গুলশান-বনানী-বারিধারার লেক উন্নয়ন প্রকল্পের ফাইল প্রকল্প পরিচালক ও রাজউকের চোয়ারম্যানের টেবিলে দীঘ দুই বছর ধরে আটকে আছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের (একনেক-১) ও ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিলেও এক বছরে তা সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে প্রকল্পের জমি অধিদগ্রহণের কাজ দেখিয়ে ৪১৪ কোটি টাকা লুটপাট করেছে রাজউক। জানতে চাইলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদউল্লা খন্দকার ইনকিলাবকে বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারার লেকর প্রকল্পের সংশোধনের প্রস্তাব আমরা একনেকে পাঠাবো। কি কারণে এক বছর ধরে লালফিতায় বন্দি তা খুঁজে বের করা হবে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়াই বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্টাডি রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রকল্পের বিশাল এ আকার বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় শুরুতেই জনমনে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহ ঘুরপাক খাচ্ছে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, রাজউকের প্রকল্পের ইতিহাস হচ্ছে, ধাপে ধাপে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি। এ সুযোগে অনিয়ম-দুর্নীতি জেঁকে বসে। প্রকল্পের সেবা সুযোগ-সুবিধার চেয়ে অর্থ খরচ হয় অঢেল।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একনেক শাখা-১ এর সিনিয়র সহকারী প্রধান নিশাত জাহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গত বছর নভেম্বর মাসে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) শীর্ষ প্রকল্পের বিষয়ে একনেক সভায় সিদ্ধান্ত গুলো হয়। এর মধ্যে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) শীর্ষ প্রকল্পটি অনুমোদ করা হলো না। কড়াইল বস্তি হতে কত পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে, তাদের কোথায় এবং কিভাবে পুনর্বাসন করা হবে ইত্যাদি বিষয়ে বিবেচনা পূর্বক বিস্তারিতভাবে স্টাডি করে যথাযথ পরিকল্পনা সহ পুনরায় প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু চিঠি দেয়ার প্রায় ৮ মাস পেড়িয়ে গেলেও এর প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে না গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে রাজউকের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বলেন, আমি নতুন এসিেছ। এখনো এ গুলো নিয়ে বসিনি। রাজউকের লেক উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৗশলী আমিনুর রহমান সুমন ইনকিলাবকে বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারা লেকের চিঠি আমরা পাইনি। তবে মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে। এদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মপ্রধান ও পরিকল্পনা কোষের মো, সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, একনেক থেকে এখনো কোন চিঠি পাইনি। চিঠি পাওয়া গেলে প্রকল্পের ফাইল পাঠানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।