পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জ জেলা বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে। এডিপির ৩৭ দশমিক চার বরাদ্দ পায় এই তিন জেলায়। অর্থাৎ এডিপিতে ১০০ টাকা বরাদ্দ থাকলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জ পায় ৩৭ টাকা ৪০ পয়সা। অন্যদিকে মাগুরা, নড়াইল ও লক্ষ্মীপুর জেলায় বরাদ্দ সবচেয়ে কম, এডিপির মাত্র দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) ‘জাতীয় বাজেটে আঞ্চলিক উন্নয়ন ভাবনা: বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অঞ্চলভিত্তিক বরাদ্দের তুলনামূলক চিত্র’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এডিপির বাজেট বরাদ্দ থেকে পরিসংখ্যান নিয়ে যৌথভাবে গবেষণাটি করেছেন পরিকল্পনাবিদ মামনুন্নাহ জোবাইদ ও আদিল মুহাম্মদ খান। এ ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু, রূপুপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেলের মতো জাতীয় প্রকল্পে এডিপি বরাদ্দ হিসাব করা হয়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনটি গতকাল মঙ্গলবার বাংলামোটরে বিআইপির কার্যালয়ে প্রকাশ করা হয়। বিআইপির সাধারণ সম্পাদক আদিল মুহাম্মদ খান প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। আরও বক্তব্য দেন বিআইপির সহসভাপতি আকতার মাহমুদ ও উপদেষ্টা গোলাম রহমান।
গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিভাগ হিসেবে এডিপিতে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ বরাদ্দ পায় ঢাকা। তারপরে চট্টগ্রাম ২৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ, রাজশাহী ১০ দশমিক ১২, খুলনা আট দশমিক ২০, সিলেট চার দশমিক ৫৬, বরিশাল চার দশমিক ১৮, ময়মনসিংহ তিন দশমিক ৫৩ এবং রংপুর তিন দশমিক ১৩ শতাংশ বরাদ্দ পায়।
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা জেলা এডিপি বরাদ্দের ২১ দশমিক ২১ শতাংশ, চট্টগ্রাম ১০ দশমিক আট শতাংশ ও গোপালগঞ্জ পাঁচ দশমিক ৩৬ শতাংশ পেয়েছে। সেই হিসেবে দেশের মধ্যাঞ্চল তুলনামূলকভাবে বরাদ্দের বেশির ভাগ পেয়ে থাকে।
তিনি বলেন, এডিপি বরাদ্দে দেশের জেলা ও বিভাগ উভয় পর্যায়েই বৈষম্য রয়েছে। উত্তরাঞ্চলে দারিদ্র্য যেখানে বেশি, সেসব এলাকায় এডিপির বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে কম। সারা দেশে সুষম উন্নয়নের জন্য জেলা বাজেট পরিকল্পনার ও তার বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।