Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফৌজদারি মামলার নির্দেশ জামিন জালিয়াতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

জাল নথি দাখিল করে প্রায় ৭ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মো. সালেহ আহমেদ ওরফে সালেহ ওরফে বার্মাইয়া সালেহর জামিন আবেদন খারিজের রায় প্রকাশ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরের পর এ আদেশের অনুলিপি প্রকাশ পায়। প্রকাশিত আদেশে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, র‌্যাব ৭ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার মামলার প্রধান আসামি মো. সালেহ আহমেদ ওরফে সালেহ ওরফে বার্মাইয়া সালেহ। ইয়াবা উদ্ধারের সময় তিনি পালিয়ে যান। এই মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ওই আসামি। জামিন আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি সালেহ অপরাধ সংঘটনের সময় টেকনাফ থানার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই সময় আসামি জামিনে ছিলেন। একইসঙ্গে মামলার পক্ষগণ পরস্পরবিরোধী আদেশের সার্টিফায়েড কপি হাইকোর্টে দাখিল করে। বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য হাইকোর্ট থেকে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এরপরই অধঃস্থন আদালত থেকে টেকনাফ থানার মামলায় আসামি সালেহর জামিন সংক্রান্ত আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন ওই ম্যাজিস্ট্রেট। এরপরই জাল নথি দাখিল করে আসামির জামিন আবেদন করার বিষয়টি প্রকাশ পায়। হাইকোর্ট জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, মামলার সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে বর্তমান আসামি সালেহ টেকনাফ মডেল থানার মামলার প্রদত্ত জামিন নামঞ্জুরের আদেশের জাল সার্টিফাইড কপি তৈরি করে এই আদালতকে বিভ্রান্ত করে জামিন নেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নথি পর্যালোচনায় এটা স্পষ্ট ওই মামলায় অধঃস্তন আদালত আসামি সালেহকে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু হাইকোর্টে দাখিল করা জামিন আবেদনে ওই তারিখ পাল্টে ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এ কারণে মামলার আসামি সালেহ, তদবিরকারক দিনাজপুরের বিরলের মো. এনামুল হক এবং তদবিরকারককে কাগজপত্র সরবরাহকারী গুলশানের মো. কাশেম আলীর বিরুদ্ধে জাল কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে জামিন হাসিলের চেষ্টার জন্য ফৌজদারি মামলা দায়েরের জন্য হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয়া হলো। ২০১৫ সালের ২০ জুন একটি প্রাইভেটকার আটক করে তার ভেতর থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ ৭ লাখ টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব। ওই ঘটনায় পরদিন ফেনী মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ