পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে ব্যাংকগুলো অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে বাংলাদেশী কোম্পানিকে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে পারবে। ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে স্থানীয় কোম্পানির আমদানি-রফতানি বিলে স্বীকৃতি, ক্রয়, ডিসকাউন্টিং, বিলম্বে পরিশোধের শর্তে আমদানি বিলও পরিশোধ করা যাবে। গত ফেব্রুয়ারিতে জারি করা অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা সংশোধন করে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই নীতিমালায় আরো বেশকিছু সংশোধনী এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতদিন অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে দেশী কোম্পানিকে ঋণ দিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমতি নিতে হতো। তবে অফশোর ব্যাংকিং যেহেতু সাধারণ ব্যাংকের মতো কার্যক্রম চালাবে, এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে অনুমোদন নিয়ে দেশী প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়া যাবে। রফতানি নেই এ ধরনের দেশী প্রতিষ্ঠানের মূলধনি যন্ত্রপাতি, পণ্যে ব্যবহূত কাঁচামাল আমদানিতেও অফশোর ইউনিট থেকে ঋণ দেয়া যাবে।
দেশের বাইরে থেকে তহবিল সংগ্রহ করে রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিতরণের জন্য ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেয়া হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো অফশোর ব্যাংকিং পরিচালনার নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে বিতরণ করা ঋণের অন্তত ৭৫ শতাংশ বাংলাদেশেই বিনিয়োগ করতে হবে। অফশোর ইউনিটের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে একটি ব্যাংকের মূলধনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ তহবিল সংগ্রহ করা যাবে।
তবে অফশোর ব্যাংকিং থেকে রফতানি বিল ক্রয়সহ নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করায় তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল ব্যাংকগুলো। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) নীতিমালার কয়েক জায়গায় সংশোধনের দাবি জানিয়ে গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়। এবিবির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল নীতিমালায় বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম আরো সুষ্ঠু ও সুসংহতভাবে পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগের নীতিমালায় বলা হয়েছিল, এ ইউনিটের তহবিল কোনোভাবেই সাধারণ শাখায় নেয়া যাবে না। তবে সংশোধনীতে বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তহবিল মুক্তভাবে অনশোর ব্যাংকিংয়ে স্থানান্তর করা যাবে না। তবে অনশোর থেকে গৃহীত ঋণ, কর্জ, প্রযোজ্য সুদ, চার্জ ও ফি ফেরত দিতে বাধা নেই। এক ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং থেকে অন্য ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমে তহবিল স্থানান্তর করা যাবে।
আগের নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬.১.১-এ উল্লেখিত রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কের সম্পূর্ণ বিদেশী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রযোজ্য শর্তাধীনে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক সব আর্থিক সেবা দেয়া যাবে। আগে নির্দিষ্ট কিছু সেবার কথা বলা হয়েছিল। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাগবে না। আগের নীতিমালায় দেশী ব্যাংকের ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অফশোর ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলা হয়। তবে এখন অফশোর ব্যাংকিংয়ের জন্য আলাদা ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।